
সিন্ডিকেট-চাঁদাবাজদের পথের কাটা টিপু
পবিত্র মাহে রমজান মাসে শহরের বাণিজ্যিক এলাকা নিতাইগঞ্জ এবং দিগুবাবুর বাজারকে সিন্ডিকেট, দখলবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত রাখতে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি মিডিয়ার অনলাইনে প্রকাশে আসলে জনগণের আস্থাভাজন হিসেবে তাদের মনে জায়গা নিতে শুরু করেন টিপু।
যা নিয়ে রাজনৈতিক একটি পক্ষ টিপুকে নিয়ে হিংসা শুরু করেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে নানা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দিতে একটি চাঁদাবাজ গ্রুপকে সক্রিয় করে তুলেন। সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজদের চোখে টিপুকে কাটা হিসেবে আখ্যায় দিয়ে সেই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা ফয়দা লুটতে চাইছে।
এ দিকে জানা গেছে, গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে রোজায় দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অনুরোধ করে আসছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, টিপু দোকানে দোকানে ঘুরে বিক্রেতাদের উদ্দ্যেশে রোজায় অতিরিক্ত মুনাফা না আদায়ের পরামর্শ দিচ্ছেন। যেই কাজ করার কথা ছিলো প্রশাসনের। সেটি তিনি নিজে করায় সকলে এর প্রশংসাও করেছেন।
তবে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর এই কাজ কিছু কিছু মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ভালো কাজ করেও বাজারের চাঁদাবাজ চক্রের দ্বারা অপমানিত হতে হয়েছে এই যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাকে। যাকে ঘিরে গত ৭ ও ৮ মার্চ বাজারে আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে মিছিল করে ৫ থেকে ৭ জন ব্যক্তি।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে এরাই দিগুবাবুর বাজারের অন্যতম চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এদের নির্দেশে বাজারে চাঁদাবাজী থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে জানান অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তবে এরপরও তারা টিপুর বিরুদ্ধে কেন মিছিল করলো সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু নিজেই।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাকির খানের ভাই মামুন খান, বাজারের সভাপতির ছেলে বিল্লাল এবং শহরের দুইনং রেলগেট এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বান্টি যিনি আজমেরী ওসমানের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তারাই আমার বিরুদ্ধে এগুলো করছে। আমি বাজারের মীর জুমলা সড়কে অবৈধভাবে দোকান বসাতে নিষেধ করায় আমাকে টার্গেট করেছে। যেহেতু ৫ তারিখের পর আওয়ামীলীগকে সরিয়ে তারা বাজারে চাঁদাবাজী করছে। তাই আমার কারণে তাদের চাঁদাবাজীর সমস্যা হচ্ছে। এই কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, মাঠ পর্যায়ে ভালো কাজ করতে গেলে ষড়যন্ত্র হবে, বাধা আসবে, প্রতিবন্ধকতা আসবে এটাই স্বাভাবিক। সেই ধারাবাহিকতায় গত (৮ মার্চ) একটি ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এক গোষ্ঠি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা আসার পর উনি যানজট নিরসনে সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যাক্তিদেরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের মীর জুমলা রোডটিকে অবৈধ দোকদান পাট উচ্ছেদ করে উন্মুক্ত করে সেখানে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয় আর রাস্তাটি যেমন দখলমুক্ত থাকে সেই লক্ষে দুইটি ভ্রাম্যমান টিম গঠন করেছেন এবং বাজনৈতিক দলগুলোকে সেখানে মনিটরিং করে তাদের সহযোগীতা করতে বলেছেন। সেই সুবাদে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি কয়েকবার সেখানে গিয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে রাস্তা দখলমুক্ত করেছি।
কিন্তু গত (৮ মার্চ) আবারো রাস্তার দুইপাশে যারা বসে তাদের অনুরোধ করে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি যাতে সুন্দর মতো গাড়ি চলাচল করতে পারে যানজট যেন সৃষ্টি না হয়। এ ছাড়া ও পবিত্র মাহে রমজানে আমি সর্বদা বিভিন্ন পাইকারী বাজারে গিয়ে গিয়ে দ্রব্যমূল্যের দামসহ কোন বেজাল আছে কিনা সব মনিটরিং করে আসছি। কিন্তু সেদিন আমি মীরজুমলা রোড দখল মুক্ত করে সেখান থেকে এসে শুনতে পেলাম দিগুবাজারের দোকান মালিক সমিতির রুহুল আমিনের ছেলে বিল্লাল, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী বান্টি ও জাকিন খানের ভাই মামুন খানসহ ৩/৪ জন চাঁদাবাজ ও দখলবাজেরা আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে মিছিল করেছেন।
তিনি আরো বলেন, মীর জুমলা রোড কখনো টেন্ডারের আওতাধীন ছিলো না। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীর লোকজন এই মীর জুমলা সড়কটিকে দখল করে সেখানে চাঁদা কালেকশন করতো। কিন্তু পট পরিবর্তনের পর বর্তমানে ডিসি সাহেব এই মীর জুমলা রোড দখল মুক্ত করতে দফায় দফায় নানাভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন সেই কারণে তাদের স্বার্থে আঘাত এনেছে। এদিকে আমি আবার সর্বদা মাঠে নামতে দেখলে আমার বিরুদ্ধে নানা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাকে হেয় করতে চাচ্ছে। আমি তার তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।