নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত আওয়ামীলীগের অপরাধীরা দেশে অবস্থান করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে অনেকেই দেশত্যাগ করেছেন তাদের দেশের বাহির থেকে দেশে এনে বিচার কার্য পরিচালনা করা দুষ্কর। কিন্তু যারা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে একাধিক হত্যা এবং হত্যা চেষ্টার আসামী হয়েও দেশে বসে বা নিজস্ব এলাকায় থেকে এখনো নানা অপকর্ম এবং ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অঙ্কনে ব্যস্ত তাদেরকে এখনো তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রশাসন।

কিন্তু বেশকয়েকদিন আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালিত হচ্ছে যেটা এখনো চলমান রয়েছে। তবে এই অপারেশনের জালে নারায়ণগঞ্জে পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সন্ধানে তৎপর রয়েছে এই অপারেশনের দায়িত্বরত প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অপারেশনের জালে আটক হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে গুটি কয়েক আওয়ামীলীগের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা। কিন্তু এখনো নারায়ণগঞ্জের পতিত আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং একাধিক হত্যা এবং হত্যা চেষ্টার আসামীরা এখনো গ্রেফতার হচ্ছে না। যার ফলে জনসাধারণ ধরেই নিচ্ছে যে পার পেয়ে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগের চিহ্নিতরা।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এলাকায় পতিত আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অধিকাংশ নেতারাই দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়া দেশে বসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি বিভিন্ন অপকর্ম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন অন্তরাল থেকে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এলাকায় পতিত আওয়ামী লীগের চিহ্নিতরা হলেন-নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ একে এম সেলিম ওসমান,নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, বিসিবির সাবেক পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল, বিসিবির সাবেক মিডিয়া চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, ১৭নংওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু,  মদনপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এমএ সালাম,

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া,সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু, পিরোজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জি মাসুদুর রহমান মাসুম,সোনারগাঁর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনি,বন্দর থানা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ। 

দেশব্যাপী ডেভিল হান্ট অপারেশনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা পরও দেশেই অবস্থান করা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের চিহ্নিত আওয়ামীলীগের নেতা জনপ্রতিধি সন্ত্রাসীরা এখনো গ্রেফতার আওতায় আসছে না। যার ফলে জনমনে এবং তাদের দ্বারা নির্যাতিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন পাহাড় সমান অপরাধ অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন চিহ্নিতরা।