সদরের হাট-বাজারের সব ইজারা বিএনপি নেতাদের পকেটে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

সদরের হাট-বাজারের সব ইজারা বিএনপি নেতাদের পকেটে
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে । কিন্তু গোপনে সমঝোতার মধ্য দিয়ে টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার হাটবাজার ইজারার কার্যক্রম। গত বুধবার (১২ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ের ইউএনও অফিস উপজেলার ১০ টি হাটবাজার ইজারার দরপত্র অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন। গত ১২ মার্চ বুধবার ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। প্রতিটি বাজারের ৩ থেকে ৫ টি করে দরপত্র ফরম বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র ২ থেকে ৩ টি করে। যার মধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলো ছিল অসম্পূর্ণ তথ্যসংবলিত। আবার কোনো বাজারে পড়েছে মাত্র দু-একটি দরপত্র।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, দরপত্র ক্রয় করা ব্যক্তিদের নিয়ে গোপনে সমঝোতার ফন্দি আটেন বিএনপির নেতারা। তাই তাদের পছন্দের ব্যক্তিরাই পেয়েছেন প্রতিটি হাট ঘাটের ইজারা। তাছাড়া এ বছর আওয়ামী লীগের নেতারা পলাতক থাকায় এবার বিএনপি নেতারা মাঠ খালি পেয়ে তারা নিজেদের নামে একক ভাবে ইজারা নিয়েছে। তাদের বাহিরে গিয়ে কেউ টেন্ডার নিতে পারে নাই।
জানা যায় রাজাপুর গুদারা ঘাটের দরপত্র জমা পড়েছে ৩টি তার মাঝে সর্বোচ্চ দরদাতার হলেন মো. হাসান আলী। তিনি ২৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা দিয়ে টেন্ডার পান। মো. হাসান আলী ফতুল্লা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বক্তাবলী বিএনপির সদস্য সচিব ছিলেন। ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দরদাতা হিসেবে দ্বিতীয় হয়েছে দেলোয়ার হোসেন।
ডিক্রিরচর গুদারাঘাটের ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে প্রথম হয়েছেন আব্দুর রহমান। পে অর্ডার সঠিক না থাকায় সানাউল্লাম নাজমুল হাসানেরটা বাতিল হয়েচে। আব্দুর রহমান হলেন সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। দরপত্র ক্রয় করা সবাইকে ম্যানেজ করে ওই বাজারের ইজারা বাগিয়ে নেন বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান। তাছাড়া সানাউল্লা তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
কাশিপুর ইউপি গুদারাঘাটের দুই লাখ ৩৭ হাজার টাকা দরদাতা হিসেবে প্রথম হয়েছেন মনির হোসেন রতন। তিনিও কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। গোগনগর মহসিনাবন্দ গুদারাঘাট দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা দরদাতা হিসেবে প্রথম হয়েছেন। তিনিও স্থানীয় বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত। পুরাতন গোগনগর গুদারাঘাটের ৪৫ হাজার টাকা দরদাতা হয়ে টেন্ডার পেয়েছেন। এখানে তিনি একাই টেন্ডারের জন্য ফরম জমা দিয়েছেন। হাট বাজারগুলো কৌশলে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে বাগিয়ে নেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেওয়ার সুযোগ নেই। বাজারের মূল্য যত বেশি হবে সরকার রাজস্ব তত বেশি পাবে। এখানে স্বচ্ছতা বজায় রেখে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।