
জাপার সন্ত্রাসীরা এখনো অধরা
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির রাজনীতিই ছিল ওসমান মতাদর্শের রাজনীতি করা। যার কারণে জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জে ওসমান পার্টি হিসেবে বিবেচিত ছিল যেমনটা আওয়ামীলীগকেও ওসমানলীগে পরিণত করেছিল ওসমানরা। আর এই ওসমান পার্টির নেতাকর্মীরা ওসমানলীগের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে নারায়ণগঞ্জে ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, সাধারণ সম্পাদক নাইম ইকবাল,নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক রিপন ভাওয়াল, সদস্য সচিব কামাল হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব জাবেদ রায়হান জয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রুপু,নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহ আলম সবুজ মূলত এসকল জাতীয় পার্টি নেতারা ওসমান মতাদর্শের বিভিন্ন এলাকায় ওসমানদের মফিয়াতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত ছিলেন। যেমন: নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু: বন্দর উপজেলা বাসিন্দা হিসেবে বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হন ওসমানদের আর্শীবাদে সানুর এই ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রভাব ছিল উপজেলার চেয়ারম্যান পদের মত। যার কারণে সানু নানা অপকর্ম ভূমিদস্যুতা,দুর্নীতি,চাঁদাবাজি প্রভাব বিস্তার করে ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছেন।
যার ফলে আওয়ামীলীগের শাসন আমলেও একজন ডেভিল হিসেবে বিভেচিত ছিলেন। আওয়ামীলীগের পতন ঘটলে গাঁ ডাকা দেন সানু কিন্তু অপারেশন ডেভিল হান্টেও তিনি এখনো অধরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাইম ইকবাল: সোনারগাঁ উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় তৎকালীন জাপার এমপি খোকার বরাতে সোনারগাঁয়ে ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। এছাড়া ওসমানরা আর্শীবাদ স্বরূপ তাকে সোনারগাঁ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য করেছিলেন। ইকবাল বালু মহাল থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামী হয়েও এখনো প্রকাশ্যে সোনারগাঁয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে ওসমানদের কর্মচারী হিসেবে মহানগর এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমানের কর্মচারী হিসেবেও বিভেচিত ছিলেন। যার কারণে মহানগর এলাকায় জাপা পরিচয়ে ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন: বন্দর বাসিন্দা হিসেবে বন্দরের ২৪নং ওয়ার্ড এলাকায় কাউন্সিলর হয়েছেন ওসমানদের আর্শীবাদে। এছাড়া ওসমানদের ছত্রছায়ায় বন্দর ২৪নং ওয়ার্ডের ঘাট হাট মাদক ব্যবসা ভূমিদস্যুতা সিএনপি স্ট্যান্ডে বৈধ চাঁদা বাহিরে গিয়ে অবৈধ চাঁদাবাজিও কায়েম করতেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক রিপন ভাওয়াল: রিপন ভাওয়াল ছিলেন ওসমানদের অন্যতম মাফিয়াতন্ত্রের নিয়ন্ত্রক সে নাসিম ওসমান,সেলিম ওসমান,শামীম ওসমান,পারভীন ওসমান, আজমেরী ওসমান সকলের সাথে সখ্যতা রেখে নগরজুড়ে নানা প্রকার অপকর্মের সাথে লিপ্ত ছিলেন।
এছাড়া নন্দীপাড়া পালপাড়া এলাকায় মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক সেক্টরে প্রভাব বিস্তার করতেন। ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্রের অন্যতম হোতা এবং ওসমান বহু অপকর্মের সাক্ষী হলে এখনো এই রিপন ভাওয়ালকে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব সংহতির সদস্য সচিব কালাম হোসেন: ধামগড় ইউপি এলাকায় ওসমানদের আর্শীবাদে বহু বিতর্কের মধ্য দিয়ে ওসমানদের টাকা বিনিময়ে ম্যানেজ করে চেয়ারম্যান হন। পরবর্তীতে ওসমানদের অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বহু অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত হন। নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব জাবেদ রায়হান জয়: সোনারগাঁয়ের তৎকালীন সাংসদ খোকার নিকট আত্মীয় পরিচয়ে ছিলেন বেপোরোয়া। সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু সিএনপি অটো স্ট্যান্ড ফলের আড়ৎ মাছ বাজার কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণসহ সোনারগাঁয়ের অপরাধ জগৎতের অগ্রভাগেই নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিলেন ওসমানদের শেল্টারে জাবেদ।
এছাড়া নানা অপকর্ম করেও ওসমানদের দোহাই দিয়ে ঠাঁই পেয়ে যেতেন জাবেদ। এত অপকর্মের পরও জাবেদ বিএনপির সাথে আঁতাত করে সোনারগাঁয়ে প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রুপু এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহ আলম সবুজ: নারায়ণগঞ্জে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেলিম ওসমান, পারভীন ওসমান, আজমেরী ওসমানের হয়ে ওসমানদের মাফিয়াতন্ত্রের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ ছিলেন। ঝুট সন্ত্রাস, গুম, খুন, ভূমিদস্যুতাসহ কিশোর গ্যাংদের দ্বারা চুরি ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের শেল্টারদাতা নিয়ন্ত্রণ ছিলেন রুপু সবুজ। রুপু সবুজ ওসমানদের অন্যতম ডেভিল হয়েও এখনো প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে ছদ্মবেশে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।