কেন্দ্রীয় সভাপতির প্রশংসায় ভাসছে মহানগর যুবদল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

কেন্দ্রীয় সভাপতির প্রশংসায় ভাসছে মহানগর যুবদল
# ত্বকীসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি যুবদল সভাপতির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মহানগর যুবদলের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী ও সামর্থ্যহীনদের মাঝে গ্রাম্য পরিবেশে সুশৃঙ্খলভাবে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মহানগর যুবদলের শৃঙ্খলায় মুগ্ধ হন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। এ সময় তিনি অনুষ্ঠানের প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে তার বক্তব্যে এমনকি ৪০ মিনিট পর সর্বশেষ অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাওয়া পর্যন্ত মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদসহ ৫১ সদস্যের কমিটির সকলকে প্রশংশায় ভাসিয়ে তুলেন তিনি।
এ সময় তার বক্তব্যে প্রকাশ ও করেন যে তিনি বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিলে ও মহানগর যুবদলের এই অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলায় তিনি মনের তৃপ্তি খুঁজে পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিবন্ধী ও সামর্থ্যহীনসহ স্থানীয় দুস্থ ও অসহায় ব্যাক্তিরা মহানগর যুবদলের কাছ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে সম্মান পেয়ে মহানগর যুবদলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া করেন।
গতকাল শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে সাড়ে ৩ টায় শহরের কিল্লারপুলস্থ বিবি মরিয়ম স্কুল মাঠে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ উপলক্ষ্যে গরীব ও অসহায়দের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী হিসেবে শাড়ি,লুঙ্গি, সেমাই, চিনি, তৈল, ভাতের চাল, পোলার চাল, পাউডার দুধ, ডাল, লবন ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা ও জানা গেছে, গত ২দিন যাবৎ যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার উপস্থিতিকে কেন্দ্রে করে মহানগর যুবদলের ৫১ সদস্যের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় আলোচনা সাপেক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণের জন্য শৃঙ্খল পৃথা চিন্তা-ভাবনা করেন। পরবর্তীতে গত (২০ মার্চ) মহানগর যুবদলের কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সকলে একত্রিত হয়ে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের স্বাক্ষরিত ঈদ সামগ্রী গ্রহণের স্লিপ কার্ড দুস্থ ও অসহায়দের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিয়ে তাদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে থেকে তারেক রহমানের উপহার সামগ্রী গ্রহণের দাওয়াত দেন।
পরবর্তীতে সকল সামগ্রী যেমন শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি, তৈল, ভাতের চাল, পোলার চাল, পাউডার দুধ, ডাল, লবণ ইত্যাদি এক বক্সে বন্দি করেন। পরে শুক্রবার অনুষ্ঠানের দিন ভেন্যুস্থলে গিয়ে লাইনে লাইনে সাজিয়ে সকল উপহার সামগ্রী রাখা হয়। পরে শৃঙ্খলভাবে কার্ড দেখে দেখে লাইনে লাইনে রেখে সেখানে উপহার গ্রহণকারীদের তাদের উপহার সামগ্রীর সামনে বসানো হয়। এমন সময় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি লাইনে সুশৃঙ্খলভাবে উপহার সামগ্রী রাখা ও তার সামনেই গ্রহণকারীরা তার সাইডেই দাড়িয়ে আসছে কার্ড লাগিয়ে শৃঙ্খলা কমিটির যুবদলের নেতাকর্মীরা সকল বিষয় দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। আর নানাভাবে মহানগর যুবদলের প্রশংসা করতে থাকেন।
এ সময় মহানগর যুবদলের পোগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদে তৈরি করেছিল ওসমান পরিবার। এই ওসমান পরিবারের হাত থেকে কোন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ কিন্তু নিরাপদ ছিল না। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা যেই অত্যাচার করেছে, বিশেষ করে শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়া মানুষকে অত্যাচারিত করেছে। আর শামীম ওসমানের ক্যাডার মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজাম মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানিও নির্যাতিত করেছিল। আমরা কিন্তু নারায়ণগঞ্জের উল্লেখিত কোন সন্ত্রাসীকে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হতে দেখিনি। প্রশাসনকে আমরা বলতে চাই অতি দ্রুত এ সকল সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
শামীম ওসমান নিজেও কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের সভায় নির্ভয় ছাত্রদের উপর নিবিড়ভাবে অস্ত্র হাতে গুলি চালিয়েছিল। এই সকল কিমিনালরা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে গেল এটাও কিন্তু বিশাল একটি রহস্য বিষয়। এই সকল সন্ত্রাসীদের অন্যান্য যারা দোষরা আছে যারা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে আমি নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে আহবান করছি। আর বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে এরকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম কেউ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তথা অঙ্গ সংগঠনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কাউকে কোন প্রকার প্রবেশের সুযোগ দেয় যে চিহ্নিত হবে তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কারো ক্ষমা নেই। আওয়ামী লীগের কোনো অনুপ্রবেশকারীকে কোনো অবস্থাতে সুযোগ দেওয়া যাবে না। কেউ যদি গোপনে অন্যায়ভাবে ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা করতে চায় তারা অবশ্যই চিহ্নিত হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর জনগণের কষ্ট হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। এটা আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। জনগণের জন্য রাজনীতি, জনগণের জন্যেই কাজ করতে হবে।
ত্বকী হত্যাকান্ড নিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জেন মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার এখনো হয়নি। এ হত্যাকান্ডের সাথে ওসমান পরিবারের সদস্যরা জড়িত রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। অবিলম্বে মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত মহানগর যুবদল কর্মী স্বজনের হত্যার বিচার এবং জেলা যুবদল কর্মী শাওন হত্যার বিচার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি'র চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। যেখানেই দুর্ঘটনা ঘটছে সেখানেই যোগাযোগ রাখছেন, তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। আগামী দিনে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে
বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি চলছে এমনটি থাকবে না। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে, তিনি কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে কেউ পার পাবে না। কোনো অন্যায়কারী পার পাবে না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে ওনার ঈদ উপহার সামগ্রী গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের অক্লান্ত চেষ্টায় আজকে তা আমরা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি। আপনারা সবাই আমাদের নেতার জন্য দোয়া করবেন ও আমাদের দেশনেত্রী অসুস্থ লন্ডনে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন।
তিনি বলেন, আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে আমাদের বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে যদি আপনারা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমাদের নেতা তারেক রহমান আপনাদের জন্য বিভিন্ন মঙ্গলজনক পদক্ষেপ গুলা গ্রহণ করেছে। আগামীতে আরও বৃহত্তর পরিষদে আপনাদের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন আমরা আপনাদের পাশে আছি।
এদিকে একই দিনে শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ও সামর্থ্যহীনদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে ব্যানার ফেস্টুন ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্দ হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
পরে তাকে প্রবীন নেতাকর্মীদের দিয়ে ম্যানেজ করে প্রায় ২ ঘন্টা পর অনুষ্ঠানস্থলে ফিরিয়ে আনেন আয়োজকরা। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনুষ্ঠানকে ঘিরে একদিন আগে থেকে পুরো বিদ্যালয় এলাকা দলীয় ব্যানার ফেস্টুন ও ছবি দিয়ে ভরে ফেলেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানকে ঘিরে শৃঙ্খলা রক্ষায় নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিশেষ পোশাকসহ নিয়োজিত করেন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতির গাড়ির পাশে থাকা একাধিক নেতা জানান, কেন্দ্রীয় সভাপতি মূলত চেয়েছিলেন যেহেতু তারেক রহমানের ঈদ উপহার পৌছে দেয়া হয়ে তাই প্রান্তিক স্থানে অনুষ্ঠানটি হোক বা কোন খোলা স্থানে অনুষ্ঠানটির আয়োজন হোক। তবে তিনি এখানে এসে দেখেন একটি বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে স্কুল ঢেকে ফেলা হয়েছে। স্কুলে যুবদলের কিছু নেতাকর্মী বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক পোশাকের পাশাপাশি ওয়াকিটকি ব্যবহার করছেন।
সবকিছু মিলিয়ে স্কুলের ভেতরে তার গাড়ি প্রবেশের সময় তিনি স্কুলে অনুষ্ঠানে না গিয়ে ক্ষুব্দ হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান। জানা যায়, পুরো স্কুলের সকল ব্যানার ফেস্টুনে শুধুমাত্র জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির নাম ছিল। স্কুলে আয়োজনের মূল পরিকল্পনাও ছিল রনির তাই তার উপরও ক্ষুব্দ হন কেন্দ্রীয় সভাপতি। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে চলে গেলে সেখানে জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি তার কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাকে অনুরোধ করেন অনুষ্ঠানস্থলে ফিরে যেতে।
ক্ষুব্ধ যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। সেখান থেকে প্রায় দুই ঘন্টা পরে পুনরায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। সেখানে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তার সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম অনুষ্ঠানটি প্রত্যন্ত এলাকায় করতে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে তারেক রহমানের উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে কিন্তু এখানে এসে দেখি শহরে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে। আমার জন্য অনেকক্ষু আপনাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে এজন্য আমি দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে উপস্থিত একাধিক যুবদল নেতা জানান, যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির উপর প্রচন্ড ক্ষোভ ঝাড়েন। এ সময় মশিউর রহমান রনি নানাভাবে বুঝিয়ে যুবদল সভাপতিরে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং এজন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওত হোসেন খানকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসেন। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত যুবদল সভাপতিকে অনেকক্ষু বুঝিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে নিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন একাধিক যুবদল নেতা।
এ দিকে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না রাগ করে চলে যাওয়া এবং ফিরে আসার এই নাটকীয় ঘটনার কারণে উপহার নিতে আসা গরিব অসহায় মানুষগুলোকে প্রায় দুই ঘন্টা অতিরিক্ত সেখানে বসে থাকতে হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা এ বিষয়ে যুবদল সভাপতি মুন্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এ ছাড়া ২ ঘন্টা অনুষ্ঠানস্থলে থেকে ও বিশৃঙ্খলা মাধ্য দিয়েই ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষ করেন জেলা যুবদল। তাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্দ হন ঈদ উপহার গ্রহণ করতে আসা ব্যাক্তিরা।