Logo
Logo
×

রাজনীতি

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও অস্তিত্ব নেই

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও অস্তিত্ব নেই

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও অস্তিত্ব নেই

Swapno



নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও অস্তিত্ব থাকল না জেলার শীর্ষ পর্যায়ের বিএনপির  বেশ কয়েকজন নেতার এবং তাদের বলয়ের। নেতাকর্মীদের ধারণা বলয় গ্রুপিংয়ের রাজনীতির প্রভাব স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বর্তমান জেলা বিএনপির সাইনিং পাওয়ারে থাকা নেতারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি তালিকা করে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করেছেন। যার ফলে জেলার উপজেলা থানা পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।  



সূত্র মতে, সোমবার (২৪ মার্চ) দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচবি রুহুল কবির রিজভী এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যদের আহ্বায়ক কমিটিকে ৩৩ সদস্যে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। 


কমিটিতে সাইনিং পাওয়ারে অর্ন্তভুক্ত করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে, ১নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিবকে। তবে ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে জেলার সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নেতা থেকে শুরু কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া নেতারাও জেলা বিএনপির পূর্ণ কমিটিতে ঠাঁই দেয়ার কথা থাকলেও ঠাঁই হয়নি। এছাড়া জেলা বিএনপির ৫সদস্য আহ্বায়ক কমিটির মধ্যে আড়াইহাজার,সোনারগাঁ,ফতুল্লা থানা নেতারা প্রধান্য না থাকায় সমালোচনা হলেও পূর্ণ কমিটিতে তাদের ঠাঁই পাওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও ঠাঁই হয়েছে ঠিকই গ্রুপিং রাজনীতির প্রভাবে দু বলয়ের মধ্যে জেলা বিএনপির পছন্দ বলয়ের নেতার সমর্থকদের প্রধান্য দিয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে। 


এরমধ্যে জেলার থানা উপজেলার শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের ঠাঁই না পাওয়া নেতাদের পর্যালোচনা করলে দেখা যায়Ñ রূপগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের বলয় এবং তাকে জেলা বিএনপিতে সম্মানজনক কোন স্থান দেয়া হয়নি। তাছাড়া তার সমর্থকদের ঠাঁই কমিটিতে নেই বললেই চলে। আড়াইহাজারে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রভাবে তার সমর্থকরা ঠাঁই পেয়ে গেলেও ঠাঁই হয়নি আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতিতে চাচা-ভাতিজা বলয় সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান আঙ্গুর ও বিএনপির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুমনের সমর্থকদের। 


অপরদিকে সোনারগাঁয়ে সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং তার বলয় এবং সমর্থকদের ঠাঁই হয়নি। কিন্তু সেখানে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মান্নানসহ তার বলয়ের নেতাকর্মীদের জেলা বিএনপিতে ঠাঁই দেয়া হয়েছে। জেলার কমিটিতে শুধুমাত্র তার বলয়ের নেতাদেরই জেলার নেতারা প্রধান্য দিয়েছে। 


এছাড়া ফতুল্লায় বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী বলয়ের  ঠাঁই দেয়া হলেও সেখানে ঠাঁই মিলেনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ আলম এবং তার বলয়ের নেতাকর্মীদের। যার ফলে জেলার সাবেক নেতা থেকে শুরু করে থানা উপজেলা এবং শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি নিয়ে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া আলোচনা সমালোচনা সৃষ্ট হয়েছে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন