মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডিএনডি’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জটিলতা

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : নারায়ণগঞ্জে ডিএনডি’র জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিদ্ধিরগঞ্জে ডিএনডি’র খাল অবমুক্ত করতে বা খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা অপসারনে সীমানা নির্ধারন করা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে না জটিলতা।

এদিকে স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু ডিএনডি এলাকায় সরকারি জমি দখল করে তা রক্ষায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। সরকারি জমিতে তোলা স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড করছে।

এতে সরকারি ভুমি নির্ধারন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারনে যথাসময়ের মধ্যে ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও উন্নয়নের কাজে বিঘœ ঘটতে পারে। ফলে সহসাই দূর্ভোগ থেকে মুক্ত হতে পারবেনা ডিএনডিবাসী।

তবে জেলা সঠিক ভূমি নির্ধারনে প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় প্রকৃত ভূমি মালিকরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। গত ৫মার্চ নাসিক ১নং ওয়ার্ডে পানি উন্নয়নের বোর্ডের সার্ভেয়ার নকশা অনুয়ায়ী অনেক স্থানে সরকারি একোয়ারভুক্ত সীমানা ছাড়িয়ে অনেক ভেতরে লালদাগ দিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।

এনিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ও এর তত্ত্বাবধানে থাকা সেনাবাহিনীকে অবগতি করেন। পরে ২১ মার্চ জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের উপস্থিতে সরকারের একোয়ার করা জমি উদ্ধার করা হয়।

এতে প্রকৃত সরকারের খাল উদ্ধার করা হওয়ার নাসিক ১নং ওয়ার্ডবাসী জেলা প্রশাসক ও তত্ত্বাবধানে থাকা সেনা বাহিনীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এদিকে ভুমিদস্যু খ্যাত একটি মহল নিজেদের অবৈধ স্থাপনা রক্ষা করতে নানা অপ প্রচরনা চালাচ্ছে। সীমানা নির্ধারন নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। এনিয়ে এলাকাবসীদের মধ্যে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে হিরাঝিল এলাকায় অবস্থিত হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটের মালিক আলহাজ¦ আবদুল আজিজ বলেন, হিরাহিল এলাকায় সিএস,এস,এ/৬৯ নং দাগে মোট ৯০ শতাংশ পর্সায় ও জোতে মালিক রমজান বনিক্য ও রেবতি মহন বনিক্য এবং গুপিনার্থ বনিক্য অমার পিতা রজ্জব আলী কাছে ৫৬ ও লাল মিয়ার কাছে ৩৪ শতাংশ বিক্রয় করেন। আমরা পৈত্রিক সূত্রে ওয়ারিশে ৫৬ শতাংশের ভুমির মালিক হই। আমাদের ৫৬ শতাংশ থেকে সরকার ২০ শতাংশ ও ৩৪ শতাংশ থেকে ২০শতাংশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহন করেছে।

এতে ৩৪ শতাংশ ভূমি রজ্জব আলীর ও ১৪শংতাশ ভূমি ফজল আলী নামে আর এস রেকর্ড হয়। কিন্তু ৫ মার্চ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার সরকারের একোয়ারভুক্ত সীমানা ছাড়িয়া নকশা বহির্ভূত আমাদের মূল জায়গার ভেতর ৪২ফিট লাল দাগ দেয়। এর পর জেলা প্রশাসক , সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানায়। পরে ১৪ মার্চ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সার্ভেয়ার পুণঃসীমানা নির্ধারণ করে।

এতে ১২ফুট সীমানা কমে। যা সঠিক নয়। পরে ২১মার্চ জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডর কর্মকার্তা ও সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি পূণঃরাই মাপ হয়। এতে সরকারের একোয়ার করা ৪০ শতাংশ ভুমি পাওয়া যায়।

যা ফজল আলী ছেলে চাঁন মিয়ার দখলে ছিলো। পরে পানি উন্নয়নের পূর্বের দেওয়া লাল দাগ চিহ্ন বা সীমানা আমাদের ভুমি থেকে সড়িয়ে নেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তারা এবং নতুন করে সীমা নিধারণ করে দেয়। জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডর কর্মকার্তা ও সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহয়োগীতায় আমরা আমাদের ভুমির সঠিক পরিমাপ পেয়েছি।