মোগরাপাড়া-বারদী আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা, চরম দূর্ভোগ
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:৫৬ এএম, ৪ মে ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০১:০১ পিএম, ৪ মে ২০১৮ শুক্রবার
সোনারগাঁ (যুগের চিন্তা ২৪) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে উদ্ববগঞ্জ হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছন দিক দিয়ে চলে গেছে মোগরাপাড়া-বারদীর আঞ্চলিক সড়ক। সড়কটির উদ্ববগঞ্জ-আনন্দবাজার সড়কের অনেকাংশে বিশেষ করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছন থেকে আনন্দবাজার পর্যন্ত বেশী খানাখন্দ থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলরত যাত্রীদের।
তাছাড়া আনন্দ বাজার খালের উপর নির্মিত ষ্টিলের কালভাটর্টি জড়াজীর্ণ থাকায় যাত্রী ও পর্যটকরা প্রতিদিন মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভা, বৈদ্যের বাজার ও বারদী ইউনিয়নের এ রাস্তার খানাখন্দ দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার সৃষ্টি হলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই বলে এলাকাবাসী জানান। রাস্তায় যত্রতত্র ভাঙ্গনের ফলে একদিকে যান চলাচলে বিঘœ হচ্ছে অন্যদিকে জনজীবনে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে পৌরসভার সাহাপুর অংশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। জানা যায় বিগত ৭/৮ বছর ধরেই এ রাস্তায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার কারনে এর কোন উন্নয়ন হচ্ছে না।
সোনারগাঁ, আড়াই হাজার, রূপগঞ্জ, নরসিংদী ও বাঞ্চারামপুরের হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তাছাড়াও ট্রাক, লড়ি, নসিমন, মাইক্রো, লেগুনা, সিএনজি ও রিক্সা চলাচল করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বোচ্চ ২০ টন ওজন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমান গ্রুপের কাভার্ডভ্যান, ট্রাক লড়িসহ কয়েকশত টন মালামাল বহনকারী ভারি যানবাহন চলার কারনে অতিমাত্রার ভাইব্রেশনের কারনে এটি অচিরেই চলাচলের অযোগ্য হতে পারে। রাস্তার বেহাল দশার কারনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষাথী, শিক্ষক ও বয়ঃবৃদ্ধ যাত্রী এবং উচ্চস্বরে হরন বাজানোর কারনে পরিবেশের শব্দ দূষণ হচ্ছে । স্থানীয়রা জানান, সরকারীভাবে মেরামতের কোন উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার ইটবালু ফেলে মেরামত করা হলেও অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলার কারনে কিছুদিনের মধ্যেই আবার ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকাবাসীর চলাচলে চরম বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরীভাবে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
বারদীতে হিন্দুদের তীর্থস্থান লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম ও পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসুর বাড়ি থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার পূন্যার্থী ও পর্যটক এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আনন্দ বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া জানান, দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোন সময় আনন্দ বাজারের কালভার্টটি ভেঙ্গে পরার সম্ভাবনা আছে। প্রকৃতি বিষয়ক লেখক ও গবেষক হাজী মোহাম্মদ মহসীন জানান, ১৯৭৫ সালের পর সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছন থেকে সরাসরি মেঠোপথটি পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করা হয়। ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে ইট, বালু, খোয়া, পিচ সব উঠে গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন টনক নড়ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম জানান, রাস্তাটি সড়ক ও জনপদের অধীনে থাকায় স্থানীয় সরকার মেরামত করতে পারছে না। তবে রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন জানান, ‘সড়কটি’ মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, অর্থ বরাদ্ধ হলেই মেরামত শুরু হবে।