টানা বর্ষনে নানা দূভোর্গ, অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে নগরবাসীর
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৫৪ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:৫৩ এএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : দু’দিন ব্যাপী টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জ পরিণত হয়েছে জলের শহরে। তবে বিকেলের দিকে একটু কম হলেও গুড়ি বৃষ্টির রেশ রয়েই গেছে আকাশে। টানা ভারী বর্ষনে হাঁটু কাঁদা আর পানিতে নিমজ্জিত নগরীরর প্রধান সড়কসহ অলিগলির রাস্তাঘাট।
দু’দিনের বৃষ্টিতে নগরীর চাষাড়া, আমলাপাড়া, সিরাজদ্দৌলা রোড, বঙ্গবন্ধুরোড, বাবুরাইল, দেওভোগ, মাসদাইরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় হাঁটু পরিমান পানি। ম্যানহোল, স্যুয়ারেজ আর বৃষ্টির পানি সব মিলে একাকার। আর কোনো উপায় না পেয়ে এ সকল ময়লা পানিতেই চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। আর এ ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন রিক্সা ,ব্যাটারী চালিত রিক্সাও সিএনজি চালকরা। একে রাস্তায় তেমন কোনো যানবাহন নেই তার ওপর পরিবহন, রিকশা চালকদের পোয়া ভারী। যে জায়গায় অন্যসময় যেতে লাগে ২০ টাকা সেখানে হাঁকিয়ে নিচ্ছে ৫০-৬০ টাকা ভাড়া আবার কখনও কখনও আরো বেশি।
এক দিকে বৃষ্টিতে ভোগান্তি আর অন্যদিকে পরিবহনের সংকট তার ওপর আবার অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কষাকষি সবমিলিয়ে বৃষ্টি এখন ভোগান্তির চরম পর্যায়। যেখানে যেতে অন্যান্য সময়গুলোতে রিকশাভাড়া ছিল ২০ টাকা আর এখন বৃষ্টিতে সে রিকশাভাড়া দাড়িয়েছে ৫০-৬০ টাকা। সিএসজিগুলোতে এখন ৫০ টাকার ভাড়া এখন দেড় থেকে দুইশ টাকায় দাড়িয়েছে। রোদ হোক ,বৃষ্টি হোক আর ঈদ হোক কোনো বিষয় পেলেই হয় কথা নেই বার্তা নেই রিকশা ভাড়া বেড়ে যায়। একে তো গাড়ী পাই না তারওপর ওদের নোখরা বাজী দেখলে মনে হয় লাখ সাহেবের বেটা। এভাবেই সায়ামপ্লাজার সামনে রিক্সা ওয়ালাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় পঞ্চাশার্ধ এক লোককে। তিনি জানান, সকাল থেকেই বৃষ্টি। একটু বাজারে আসছি। এখন বৃষ্টি হলে কী হবে আমাদেও কাজ তো করতে হবে। যাই হোক কষ্ট করে আসছি। এখন কাজ শেষ। বাসায় ফিরবো। কিন্তু একটা রিক্সা পাচ্ছি না। তার ওপর যাই পাচ্ছি ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা চেয়ে বসে আছে। ঢাকা থেকে বোনের বাসায় আসা মাহমুদা বেগম জানান, চাংখারপুল থেকে বিকেলে রওনা দিয়েছি। এখন বাজে ৭টা। মাত্র চাষাঢ়ায় এসে পৌঁছালাম। ভাইঙা ভাইঙা অনেক কষ্ট করে আসতে হইছে। এখন রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছি। রিক্সা না হলেও সিএনজি হলেও চলবে কিন্তু কোনো টাই পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে সারারাত এখানেই থাকতে হবে।
তবে রিক্সাচালক মোহাম্মদ আলী এ অভিযোগ অবান্তর বলে দাবী করে যুগের চিন্তা ২৪ কে জানান, বৃষ্টিতে কষ্ট করে ভিজে রিক্সা চালাতে হয় আমাদের। তার ওপর সব রাস্তায় তো আর একভাবে গাড়ী চালাইতে পারি না। আর বৃষ্টিতে তো তেমন ক্ষেপও পাওয়া যায় না। তাই আর একটু বেশি ভাড়া আমাদের প্রাপ্যই। এখন না চাইলে নাকি আল্লাহও দেয় না আর মানুষ তো মানুষই। সিএনজি চালক করিম বক্স যুগের চিন্তা ২৪ কে জানায়, মাত্র সাইনবোর্ড থেকে আসলাম। রাস্তার যে অবস্থা তার ওপর পানিতে রাস্তার গর্তগুলা ভরে গেছে। এমনেই রাস্তাটা রিস্কি তার ওপর এখন বৃষ্টি হইয়া অবস্থা তো আরো খারাপ। তাছাড়া ভাড়ার প্রসঙ্গে যদি বলেন তয় একটা কথাই বলমু বৃষ্টিতে একটু বেশি ভাড়া না নিলে পোষায় না আমাদের। কারণ অন্যান্য সময়ের মত তো আর ক্ষেপ মারতে পারি না। তবে সাধারণ মানুষের ভাষ্যমতে, শুধু বৃষ্টিতে নয় অতিরিক্ত রোদেও রিক্সাওয়ালারা বাড়তি ভাড়া আদায় করে নেয়। তাছাড়া ঈদসহ আরো অন্যান্য মৌসুম তো রয়েছেই।