আড়াইহাজারবাসীর মাঝেই ঈদের আনন্দ খুঁজে পাই : ইকবাল পারভেজ
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০২:২০ পিএম, ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। ঈদের সময় প্রিয় মানুষদের ঈদের এসএমএস করেন তিনি। এছাড়া আড়াইহাজারবাসীর মাঝেই এখন ঈদের আনন্দ খুঁজে পান বলে জানান তিনি। যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডায় ঈদের দিনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইকবাল পারভেজ জানান, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ঈদের প্রস্তুতি নেই।
নতুন কাপড় পড়ে বাবা-মা কে সালাম করার মধ্যদিয়ে ঈদের আনন্দ শুর করি। নামায আদায় করি। তবে বাবাকে ছাড়া এটাই প্রথম ঈদুল ফিতর উদযাপন। ঈদে আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার সেমাই, পায়েশ, পিঠা। সকলের সাথে ঈদে খাবার খাওয়াটা বেশ মজার। ঈদের সময় প্রিয় মানুষদের ঈদের এসএমএস করি। ছোটবেলায় ঈদের জামাকাপড় কেনার পর লুকিয়ে রাখতাম। কারণ বন্ধুরা যদি এটা দেখে ফেলে তাহলে সেও একইরকম জামা কিনবে। অনেক সময় তথ্যটা প্রকাশ করতে দিতাম না। ঈদ হলো একটি আনন্দের ব্যাপার। দীর্ঘ একমাস রোযা রাখার পর সকল আড়াইহাজারবাসীর সাথে একাকার হয়ে। প্রকৃতপক্ষে এখন আড়াইহাজারবাসীর মাঝেই আমি ঈদের আনন্দ খুঁজে পাই। ঈদের সালামী বা ঈদী নিয়ে ইকবাল পারভেজ জানান, ছোটবেলায় বাবা-মাকে সালাম করলে তারা ঈদের সালামী বা ঈদী দিতেন। সেটাতে অনেক তৃপ্তি ও আনন্দ পেতাম। ঈদীটা খুব যতœ সহকারে স্মৃতি সহকারে জমিয়ে রাখতাম।
পরে একটি নতুন পোষাক কিনতাম। এখন এগুলো খুব সুন্দর স্মৃতি। এখন ঈদের আনন্দ সবার সাথে যখন ভাগাভাগি করতে পারি, তখন অন্তর থেকে শান্তি পাই। দিনটিও ভালো কাটে। আগের ঈদ আর এখনকার ঈদ উদযাপনে অনেক পার্থক্য আছে উল্লেখ করে ইকবাল পারভেজ জানান, আগের ঈদটা যেমন নিজের আনন্দ হিসেবে বেঁছে নিতাম। কিন্তু এখন চিন্তা করি আমার সমাজ, আড়াইহাজারের জনগণের মনে ঈদের দিনে কষ্ট আছে কি না। এ কষ্ট যদি আমি লাঘব করে তাঁর সুখ-দুঃখে ঈদের আনন্দ উপলদ্ধি করি। এবং সত্যিকার অর্থে ঈদের আনন্দটি পাই। ফুটবল বিশ্বকাপে ইকবাল পারভেজ আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। তিনি জানান, আমার মেয়ে ব্রাজিলের সমর্থক, ছেলে ব্রাজিলের সমর্থক। সমর্থন নিয়ে তো আপসের সাথে ঝগড়া হয়। আমার স্ত্রী মনে মনে ফ্রান্সের সমর্থক। এগুলো নিয়ে বাসায় অনেক খুনসুটি হয়।
পরিবার ছাড়া ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে ইকবাল পারভেজ জানান, ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার মামার বাড়িতে আওয়ামীলীগ করার অপরাধে বিএনপি’র এমপি’র নেতৃত্বে গানপাউডার দিয়ে পুরো বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিলো। তখন আমাদের জননেত্রী শেখহাসিনা ২০০২ সালের ১৯ জানুয়ারি স্বশরীরে আমার মামা বাড়িতে এসেছিলাম। আমি তখন রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতাম। জননেত্রী আমার মামা বাড়িতে আসার কারণে তখন এখনকার এমপি আমাকেসহ পরিবারের কয়েকজনকে খুনের মিথ্যা মামলায় আসামী করেছিলো। র্যাব আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ায় সে সময়ের ঈদটি কারাগারেই কাটাতে হয়েছিলো। পরিবার ছাড়া ঈদ আসলেই বেদনাদায়ক, দুঃখের এবং হতাশার। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আড়াইহাজারের সকল শ্রেণি, বর্ণ, পেশার মানুষকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইকবাল পারভেজ।