প্রতি ঈদেই নানা বাড়ি চলে যেতাম : তৈমূর
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১২:০৪ পিএম, ২১ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার। দলের ক্রান্তিলগ্নে পিছপা হননি লড়াইয়ের ময়দান থেকে। অনুসারীদের কাছে মজলুম নেতা হিসেবে পরিচিত তৈমূর কথা বলেছেন যুগের চিন্তা ২৪ এর ঈদ আড্ডায়। যেখানে উঠে এসেছে তার ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দ আর শৈশব ও বর্তমানের ঈদ উদযাপনের কথা।
আড্ডার অংশ বিশেষ যুগের চিন্তা ২৪ এর পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলো। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ আছেন কারাগারে কেউ বা পলাতক। নেতাকর্মীরাও ভাল নাই। পুলিশের কাছে আমরা এখন গিনিপিক। গিনিপিক অবস্থায়ই ঈদ কাটাতে হবে। এমন অবস্থাতেই বলতে হয় আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আড্ডার শুরুতেই উঠে আসে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। এ নিয়ে বলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলে না। তাই বিশ্বকাপ দেখে সময় অপচয় করি না। এই সময়টায় আমার পারিবারিক লাইব্রেরীতে কাটাবো। বাংলাদেশ আমার জীবন, বাংলাদেশই মরন। যে আসরে বাংলাদেশ নাই সে আসরের প্রতি আমার কোন আগ্রহও নাই। যেদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যাবে সেদিনই বিশ্বকাপ দেখবো। বর্তমানে রুপগঞ্জে নিজের মায়ের কবরের পাশের মসজিদে এত্তেকাফ অবস্থায় আছেন তৈমূর। শৈশব ও কৈশোরের ঈদ নিয়ে বলেন, শৈশবে ঈদ কাটতো রুপগঞ্জে। প্রতি ঈদেই নানা বাড়ি চলে যেতাম। তবে সালামি নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ ছিল না।
যখন রাজনীতিতে জড়াই তখন থেকেই ঈদের দিন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাই। এবার আর সেটা হবে না। মাসদাইর ঈদগাহ ময়দানের সেক্রেটারী থাকা অবস্থায় দীর্ঘদিন ঈদ মানে ছিল মুসল্লিদের নামাজ আয়োজনের ব্যস্ততা। ঈদগাহের হোগলা কিনতে চলে যেতাম মীরকাদিম। ঈদ নিয়ে তার পরিকল্পনা জানতে চাইলে বলেন, অন্যের জন্য উৎসর্গ করাটাই হলো ঈদ। সকালে নামাজ পড়বো মাসদাইর ঈদ গাঁ ময়দানে। সেখান থেকে মাসদাইর গোরস্থানে কবর জিয়ারতে। খাবার শেষে যাবো জাহাঙ্গীর কমিশনারের বাড়িতে সেখান থেকে কারাবন্দী নেতাদের বাড়িতে। বিকেলে মুসলিম একাডেমীতে ও সন্ধ্যার পর নিজ বাসভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানান তিনি। ঈদের পরদিন যাবেন রুপগঞ্জে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।
ঈদে তেমন কোন পছন্দের খাবার নেই। তবে টক দই খেতে পছন্দ করেন। পরিবারের জন্য আলাদা কোন পরিকল্পনা না থাকলেও নাতীর সঙ্গেই এবার ঈদে সময় কাটবে বলে জানান তিনি। ঈদের পরের রাজনৈতিক পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, আমি মাইরখাইলেও পুলিশ দেইখা দৌঁড়ানোটা অপমানজনক মনে করি। রাজপথের মানুষ আমি। ঈদের পর গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের লড়াইয়ে রাজপথেই থাকবো। পরিবারের বাইরে কখনো ঈদ উদযাপন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বলেন, জীবনে কেবলমাত্র কারাগারেই সাঁতটা ঈদ কাটাইছি। আর এমন অনেক ঈদে পলাতক ছিলাম। পরিবারের কাছে থাকতে পারি নাই। এটাতে একটা যন্ত্রনা আছে। এই অনুভূতি ভুলার না। ধন্যবাদ, যুগের চিন্তার পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা। যুগের চিন্তাকেও ধন্যবাদ। যুগের চিন্তা পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা।