বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১   ০৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছে করে ছোটবেলার মত করে ঈদ উদযাপন করি : মোস্তাফিজুর রহমান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০২:৩৬ পিএম, ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): ‘পুলিশের ঈদ উদযাপন বলতে কিছু নেই। যেহেতু ঈদের আমাদের পুলিশের দায়িত্ব থাকে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরতে পারে। তাই আমাদের ঈদ পালনটা সেভাবে হয়ে ওঠে না। ঈদ উদযাপন মূলত মানুষের নিরাপত্তা প্রদানের মধ্যে দিয়েই হয়।

 

কিন্তু ইচ্ছে করে ছোটবেলায় যেভাবে ঈদ উদযাপন করেছি বাবা-মা, ভাই- বোন সবাইকে একসাথে নিয়ে কিন্তু এখন আর তা তো হয়ে উঠে না। প্রায় প্রতি ঈদেরই ইচ্ছে করে ছোটবেলার মত করে ঈদ উদযাপন করি। যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডায় নিজের ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে এমন ইচ্ছের কথা জানান নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালনরত পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান । ছোটবেলার ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ছোটবেলার ঈদ উদযাপন ছিলো অন্যরকম। আমি গ্রামে বড় হয়েছি।

 

সেখানে হত কী, ঈদের নামাজ শেষ করে এসে বাড়ি মুরুব্বী থেকে শুরু করে সবাই একসাথে বসতো। খেলার আয়োজন হত। একসাথে খাওয়া দাওয়া, হৈ হুল্লোড় আর কত কী ! কিন্তু এখনতো সব ভার্চুয়াল হয়ে গেছে। ঈদের কেনাকাটা নিয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি ঈদে কখনই কেনাকাটা করি না। ছোটবেলায় করতাম । ছাত্র জীবনেও করেছি। কিন্তু এখন করা হয় না। এবারো তেমন কেনাকাটা করিনি। শুধু একজোড়া জুতো কেনা হয়েছে। ঈদের দিন সারাদিন কিভাবে কাটাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের দিনটা সাধারণত তো ব্যস্ততাই কাটাতে হয়। কিন্তু যদি যানজট কম থাকে তাহলে বাসায়ই কাটাবো। এছাড়া আর কোনো পরিকল্পনা এখনও করা হয় নি। ঈদের দিনের পছন্দের খাবারে মায়ের হাতে খাবারটাই সবচেয়ে পছন্দের বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমার ঈদের দিনটা মূলত মিষ্টি দিয়ে শুরু হয়। এছাড়া বাসায় বিভিন্ন খাবারের আয়োজন থাকে। চালের রুটি,গরুর মাংস,বিভিন্ন প্রকারের পিঠা-পায়েস তৈরী করা হয়। এখনতো চটপটি,ফুসকার একটা আয়োজন থাকে। কিন্তু মায়ের হাতের রান্নাটা খুব মিস করি।

 

মাঝেমধ্যে খুব খেতে ইচ্ছে করে মায়ের হাতে কাচ্চি বিরিয়ানী,গরুর মাংস,চালের রুটি। ঈদ সালামী বা ঈদী নেয়া প্রসঙ্গে মোস্তফিজুর রহমান ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে জানান, ছোটবেলায় ঈদ বকশিশ নিয়ে স্মৃতির শেষ নেই। সকাল বেলায় কাজিনরা একসাথে আত্মীয়স্বজনদের বাসায় যেতাম অনেক উপহার পেতাম। তখন টাকার পরিমাণ ছিলো কম। যেমন, ৫টাকা, ১০ টাকা, ২০টাকা, খুব বেশি হলে ১০০ টাকা। তবু ওটাতে অন্যরকম একটা আনন্দ ছিলো। আমার মনে আছে বাবা ঈদে আমাদের দেয়ার জন্য নতুন নতুন কচকচে নোট এনে রাখতো। ঈদের নামাজ শেষ করে এসে আমাদের হাতে হাতে দিত। তবে এখনো ঈদ সালামী পাওয়া হয়। সিনিয়র যারা আছেন তারা ঈদ বকশিস দেয়। তবে ছোটবেলার যে আনন্দটা সে আনন্দটা খুঁজে পাই না। বিশ্বকাপ ফুটবলে মোস্তাফিজুর রহমান আর্জেন্টিনার সমর্থক।

 

তিনি জানান, আগে থেকেই ফুটবলে আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। এবার ঈদে খেলা দেখবো বলে চিন্তা করছি। পরিবার ছাড়া ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরিবার ছাড়া ঈদ উদযাপন করেছিলাম যখন জাতিসংঘ মিশনে গিয়েছিলাম। তারপর ছাত্রজীবনেও অনেকবার পরীক্ষার কারণে পরিবার ছাড়াই ঈদ উদযাপন করেছি। পরিবার ছাড়া ঈদে আসলে সেভাবে আনন্দের হয় না। সবার সাথে একসঙ্গে ঈদ উদযাপনেই আসল আনন্দ। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ীসহ সকলকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।