রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদী দিয়ে চাঁটনী কিনে খেতাম : আনোয়ার হোসেন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ২১ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। ঈদে অন্যকে খুশি করতে পারলে নিজের কাছে অনেক খুশি লাগে বলে জানান তিনি। আগের উদযাপন আর এখনকার ঈদ উদযাপনে ছোটবেলার মতো সেই মজা আর নেই বলে জানান আনোয়ার হোসেন।

 

যুগের চিন্তা ২৪’র সাথে ঈদ আড্ডায় ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ঈদগাহে নামায পড়বো। নামায পড়ে এসে গুরুজনদের সালাম দিবো। ছোটদের ঈদ বখশিস দিবো। বয়স হয়ে গিয়েছে। মেয়ে এবং নাতি-নাতনীদের নিয়ে সময় কাটাবো। ঈদে নারায়ণগঞ্জেই আছি। ঈদের দিন মজার খাবার সেমাই খেতে পছন্দ করি। আমার স্ত্রী ভালো রান্না করতে পারে। তাঁর রান্না করা খাবার খেতে ভালো লাগে। বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে এখন ঈদের মধ্যে আর আগের মতো আনন্দ পাই না। আনন্দ দিতেই এখন ইচ্ছা।

 

অন্যকে খুশি করতে পারলেই এখন অনেক খুশি। ঈদুল ফিতরের আগে পুরো মাস রোযা রাখতে রাখতে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। ঈদের নামায আদায় করে বাবা-মার কবর জিয়ারত করতে যাই। জিয়ারত করে বড় বোনের বাসায় গিয়ে তারপরে বাসায় আসি। তারপর মেহমানদের আপ্যায়ন করি। সন্ধ্যায় বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেই। রোযায় যেহুতু আড্ডা দেয়া তেমন হয় না। ঈদের দিন থেকেই জমিয়ে আড্ডা দেয়া শুরু করি। বোস কেবিনে গিয়ে বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দেই। ঈদের পোষাক কেনাকেটা নিয়েও এখন আর আগের মতো আনন্দ নেই জানিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন মেয়ে আর মেয়ে জামাই পাঞ্জাবী-পায়জামা কিনে পাঠায়। এগুলোই পড়ি। আর এখন তো আমাদের দেয়ার সময়। মেয়ে, মেয়ে জামাই, নাতি-নাতনীকে পোষাক কিনে দিতেই বেশি মজা পাই। ছোটবেলায় ঈদের সালামী বা ঈদী নেয়া প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন জানান, আগে ঈদের নামায পড়ে এসে বড়ভাই, বাবা-মা কে সালাম করতাম। তারা সালামী দিতেন।

 

এগুলো জমিয়ে ঈদের দিন ও ঈদের পর দিন বিভিন্ন আচার-চাঁটনী কিনে খেতাম। এগুলোই ঈদের আনন্দ ছিলো। ফুটবল বিশ্বকাপে আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। আর আমার স্ত্রী আগে ব্রাজিলের সমর্থক ছিলেন এখন আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমার ছোটমেয়ে ব্রাজিলের সমর্থক। এগুলো নিয়ে বাসায় দলাদলি হয় না। ঈদে মজার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, বিয়ের আগে আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে ঘুরতে যেতাম। আমার বড়বোনের বাসায় যেতাম। বাচ্চাকাচ্চা হওয়ার পর আর তেমন যাওয়া হয় নি।

 

এখন সেভাবে বেড়ানোর সুযোগ হয় না। মেয়েরা বাসায় বেড়াতে আসে। মেহমানদারি নিয়েই ব্যস্ত থাকি। ঈদের পর রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনের জন্য সংগঠনকে গোঁছাতে হবে। পাড়া মহল্লায় নির্বাচনী কেন্দ্রীয় কমিটি করতে হবে। আমাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ঈদের পরিবার ছাড়া উদযাপনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজনৈতিক কারণে ছাত্রজীবনে কয়েকবার জেল খানায় ঈদ করতে হয়েছে। জেলখানায় ঈদের দিন একটি বিশেষ খাবার দেয়া হতো। সে খাবারের মধ্যে সেমাই, খিচুড়ি দিতো। এগুলো বাড়ির মতো ছিলো না। কিন্তু সেগুলো অমৃতের মতো খেতাম। বাড়ির কথা মনে পড়লে, বাবা-মায়ের কথা মনে পড়লে কান্নাকাটি করতাম। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আনোয়ার হোসেন তাঁর রাজনৈতিক বন্ধু, সহকর্মী, নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।