ভোগান্তির আরেক নাম মীরজুমলা রোড
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : দ্বীগুবাবু বাজারের মীরজুমলা সড়কের মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যেই ছোট-বড় গর্ত, খানা-খন্দে ভরা। তার ওপর রাস্তার দু’পাশে সারি সারি দোকান বসিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে চলাচলের জন্য আরো প্রতিবন্ধকতা।
মাত্র ছোট কিংবা বড় একটি গাড়ি রাস্তায় প্রবেশ করলে অবশিষ্ট জায়গা দিয়ে মানুষের হাঁটা চলা একেবারেই অসম্ভবপর হয়ে ওঠে । রাস্তাটিতে ভাগাড়ের মতো ময়লা আবর্জনা তো ছড়িয়ে ছিটয়ে রয়েছেই।
নারায়ণগঞ্জের সবজি বাজার হিেেসবে খ্যাত নগরীর দ্বীগুবাবু বাজার। নগরীর ব্যস্ততম জায়গাগুলোর মধ্যে দ্বীগুবাবু বাজারের মীরজুমলা রোড। প্রতিদিন এ রাস্তায় থাকে প্রায় হাজারো মানুষের আনাগোনা।
সকাল থেকে রাত অবধি দরকষাকষি, হাঁকডাকে মশগুল থাকে দ্বীগুবাবু বাজারের মীরজুমলা রোড। দাম ও পণ্য হাতের নাগালে থাকায় নগরীর বেশিরভাগ মানুষই নিত্য প্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে পুরো মাসের বাজার সারেন অনেকে এখানেই।
বাজারটিতে সবজির সহজলভ্যতা থাকলেও রয়েছে অনেক অসুবিধা। বিশেষ করে বাজারের পরিবেশ আর রাস্তাটি। নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার কোনো স্থান না থাকায় মীরজুমলা রোডের একপাশ জুড়ে রাখা হয় বাজারের সকল প্রকার উচ্ছৃষ্ট।
সারাদিনের বাজারের এ উচ্ছৃষ্ট রাস্তা মাঝবরাবর চলে আসলে পড়তে হয়ে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়াম্বনায়। তাছাড়া সময় মত এ সকল উচ্ছৃষ্ট অপসারন না করাতে তা পঁেচ দূর্গন্ধে দুর্বিসহ হয়ে পরিবেশ ভারী করে তুলছে ।
বাজাটির আরেকটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে রাস্তা। মীরজুমলা রোডের একাংশ ঠিক থাকলে কালীর বাজার রোডের পাশ হয়ে দ্বীগুবাবু বাজারের মীরজুমলা রোডে উঁচু-নিচু খানখন্দে ভরা। বাজার করতে আসা মানুষের ভোগান্তির অন্যতম কারণ। বৃষ্টি হলে মানুষের এ ভোগান্তি বাড়ে চারগুণ।
সোমবার (২ জুলাই) দ্বীগুবাবু বাজার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভোগান্তির নানা দৃশ্য। মীরজুমলা রোডের বা’পাশের গলির রাস্তাটির আরো বেহাল দশা। একদিকে জায়গায় জমাট বাঁধা ময়লা আবর্জনা (বাজারের উচ্ছৃষ্ট), কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রাস্তার মাঝে, বড় বড় খানখন্দ তো রয়েছেই। সামান্য বৃষ্টিতেই খানখন্দগুলো পানি আর কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বিড়ম্বনায় তখন চরমে ওঠে।
রাস্তার পাশেই দোকান নিয়ে বসা আলু ব্যবসায়ী আমান মিয়া। রোজগার ব্যবসা। আর এ দিয়ে চলে তাঁর সংসার এ ভাঙাচোরা কাঁদাভরা রাস্তা তাঁর কাছে নিত্যান্ত অযুহাত মাত্র। এমনটাই জানান আমান মিয়া। তিনি জানান, সমস্যা তো সব জায়গাতেই আমাদের এখানে ও আছে।
কিন্তু এটা আমাদের ব্যবসা না করে উপায় নাই আর না করলে খাবোই কী। শুধুমাত্র ভাঙা রাস্তা আর কাঁদা নিয়ে চিন্তা করলে তো আর পেট ভরা যাবে না। তাছাড়া এ দায়িত্ব বাজার কর্তৃপক্ষের। তারা যদি নিজ দায়িত্বে সংস্কার না করে তাহলে আমরা কী বলি বলেন?
আরেকজন ব্যবসায়ী জানায়, একদিকে ভাঙাচূড়া রাস্তা তার ওপর ভারী ভারী যানবাহন ঢুকে রাস্তার দশা আরো বেহাল করে দিচ্ছে। এখন কর্তৃপক্ষ যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় আমরা কী করবো? বাজারের এ রাস্তায়ই যেহেতু ব্যবসা করি তাহলে যত সমস্যাই থাকুক না কেন বসতে তো হবেই।
আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, এ রাস্তা সিটি করপোরেশনের আওতায় রয়েছে। সিটি করপোরেশন ঈদের পর থেকে এ রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার কথা। টেন্ডারও হয়ে গেছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি।
দ্বীগুবাবু বাজার কর্তৃপক্ষ (ট্রেজারার) ফায়জুল ইসলাম রুবেলের সাথে। তিনি জানান, রাস্তাটা আসলেই খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গেছে। মানুষের চলাচল আর ভারী যানবাহন আসা যাওয়ার কারণে রাস্তা ক্রমশ নাজুক হয়ে পড়ছে। মানুষের ও যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। যেহেতু রাস্তাটা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত ।
আমরা সিটি করপোরেশনের সাথে কথা বলেছি। আমরা জানতে পেরেছি সামনেই সিটি করপোরেশন এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করবে। কবে থেকে রাস্তার কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, কবে থেকে শুরু হবে এ তারিখটা এখনও আমরা জানতে পারে নি। এতটুকু জানতে পেরেছি অন্যান্য রাস্তার কাজ যেভাবে টেন্ডার ভিত্তিতে হয় এ রাস্তাটিও ঠিক সেভাবে করা হবে।