শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গরুর লেজ দিয়ে তৈরী রেসিপি আমার খুবই পছন্দ : কাউন্সিলর রুহুল আমি

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮ রোববার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র ঈদুল আজহা। শান্তি, সৌর্হাদ্য আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে এ উৎসব। ঈদে সব ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার দিন। ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর উদ্দেশে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশুকোরবানি করা মুসলমানদের অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে যুগের চিন্তা ২৪’র সঙ্গে এবারের ঈদ উদযাপন, কোরবানির পশু কেনা, কোরবানীর তাৎপর্য, শৈশবের কোববানির ঈদ ও নানা স্মৃতি, রাজনৈতিক প্রস্তুতিহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন  নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জহিরুল হক।

ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়ে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা বলেন,  কোরবানির গরু এখনো গরু কেনা হয়নি। তবে হাটগুলো ঘুরে গরু কেনা চেষ্টা চলতেছে। এবার ঈদুল আজহায় ধনকুন্ডা জামে মসজিদে ঈদের জামায়াত আদায় করবো। যেহেতু পরিবারে সবাই দেশের বাইরে থাকে তাই সমাজের আশেপাশে  সবাই পরিবার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করবো।

শৈশবে হাট থেকে গরু কেনার স্মৃতিচারণ করে জনপ্রিয় এ কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা জানান, ছোটবেলায় কোরবানির ঈদে বাবা-দাদার সাথে গরু কেনার হাঁটে গিয়ে ইচ্ছা করতো বড় বড় গরু কেনার। বাবাকে বলতাম ‘আব্বা একটা বড় গরু কিনো। কিন্তু তখন আমাদের সামর্থ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হতো। আমার বাবাসহ আরো ৫-৭ জন মিলে একটা বড় গরু কিনতো।

তখন বাবা বলতো,  তুমি বড় হয়ে গরু কিনতে পারবে। সত্যিই হয়েছে! এখন আমার বড় গরু কেনার সামর্থ্য আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ‘বাবা বড় গরু কিনো’ এরকম কথা বলার জন্য কেউ নেই।  

শৈশবের ঈদুল আজহার স্মৃতিচারণা করে রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, স্মৃতি আছে অনেক কিন্তু একটা কথা এখনও মনে আছে।  আমাদের সময়  কট কাপড়ের এক ধরণের প্যান্ট বের হয়েছিলো। সবাই কিনতেছে। তাই  আমিও সবার মত বায়না ধরলাম আমাকেও কিনে দিতে হবে। আমার এ বায়নায় পূরণ না করায় বাবার সাথে আমি রাগ হয়ে  বসে ছিলাম।

পরে বাবা  দাদার কাছে টাকা দেয় আমাকে মার্কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখন তা মনে পড়লে তা হাসি আসে। যে একটা প্যান্টের জন্য কি রাগটাই না করেছিলাম!  ঈদে বাবাকে খুব মনে পড়ে। বাবা থাকলে  আগে আগেই গরু  কিনে ফেলতো ।  এখন তিনি নাই তাই ঈদে কোনো আনন্দও নাই। আমিই যতোটুকু পারছি করছি বাবার যায়গাটা পূরণ করার চেষ্টা করছি।

ঈদুল আজহায়  গরুর মাংসের তৈরী  যে কোন খাবার বেশ পছন্দের জানিয়ে রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, গরুর মাংস দিয়ে তৈরী সব আইটেমই আমার ভালো লাগে। আমি বেশির ভাগ সময় দেশের বাহিরে থাকতাম। দেশের বাইরে থাকায় গরু মাংস দিয়ে বিভিন্ন আইটেম টেস্ট করার সুযোগ হয়েছিলো। আমরা একটা আইটেম খুব পছন্দ সেটা হল গরুর লেজ দিয়ে তৈরী রেসিপি।

গরুর লেজটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে চাক চাক করে কেটে কমলার রস সাথে লেবুর রস দিয়ে রান্না করা আইটেমটা আমার খুবই সুস্বাদু লাগে। যদিও এখানে অনেকেই এ খাবারে অভ্যস্ত নয়। তবে এটা আমার খুবই পছন্দ।

ঈদের পর রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সামনে যেহেতেু একাদশ নির্বাচন রয়েছে সে ব্যাপারে কিছুটা প্রস্তুতি পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া এবারের ঈদে হাটে  কোথাও কোনো ঝামেলা হচ্ছে কিনা ! রাস্তা ঘাটে কোনো  সমস্যা বা বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কিনা ! এ ব্যাপারে তদারকি চলছে।

ঈদ আড্ডায় সবার উদ্দেশ্যে ঈদ শুভেচ্ছায় জানিয়ে বলেন, আমি  মুসলমান হিসেবে বলতে চাই, ‘ঈদ আনন্দের তাই সুশৃঙ্খলভাবে সকলে আনন্দের সাথে ঈদ কাটাতে পারে আল্লাহ সবাই কে সেই তৈফিক দান করুক। সবার ঈদ আনন্দে কাটুক।’