শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হয় আপনি থাকবেন, নয় আমি থাকব : এসপি হারুন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:১৩ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) :  অন্যায়ের সাথে আপোস নয় উল্লেখ করে জেলা পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিপিএম, পিপিএম (বার) বলেছেন, জেলায় শুধু মাদকের বিরুদ্ধে নয়, যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা আছি। সকল মানুষের জন্য আমার দরজা খোলা। 

আমার কোন পুলিশ অফিসার যদি মাদক ব্যবসাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে জানতে পারি তাহলে নারায়ণগঞ্জে সেই পুলিশ অফিসার থাকবে, নয়ত আমি থাকব। আমার প্রথম কাজ হবে মাদকের সকল সোর্স ধরা। কারণ যত সোর্স আমি জেলে পাঠাবো তত মাদক ব্যবসা কমবে।

পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে যেই মাদকের সাথে যুক্ত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে যত বড় ভাইয়ের লোকই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমি এর আগেও কাউকে ছাড় দেই নাই। অন্যায়ের সাথে আমার কোন আপোস নাই।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে জেলার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, বিশেষ অতিথি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এডভোকেট নুরুল হুদা, নারায়ণগঞ্জ সদরের কমান্ডার শাহজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিপিএম, পিপিএম (বার) আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমাদের এই বাংলাদেশের জন্ম হতনা। 

আমরা এখানে এসপি, ডিসি হিসেবে বক্তব্যে দিতে পারতাম না। ১৯৭১ সলে ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশকে স্বাধীন করে।

কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যারা হত্যা করেছে এ দেশের মাটিতে তারা আজও ঘাপটি মেরে রয়েছে। তারা দেশের  স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি।
 
আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার কষ্ট হয় যখন বীরমুক্তিযোদ্ধারা আলবদর, আলসাম রাজাকরাদের সালাম দেয়। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বলতে চাই মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনাদের সরকারের কাছে চাইতে হবে কেন? আপনারা জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। 
 
তিনি বলেন, দেশের জন্য যুদ্ধ করে কয়জনের উন্নতি হয়েছে? দেশে কয়জন মুক্তিযোদ্ধা শিল্পপতি হতে পেরেছেন? হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া। 
অথচ অনেকেই আপনাদের নাম করে বড়লোক হয়ে গেছে। এই দেশ আপনারা স্বাধীন করেছেন, আপনাদের সম্মান সর্ব শীর্ষে। কোটা বাতিল করা হয়েছে। কোটা আবার আসবে। 

আমি জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করব, সরকারের নিকট যেন আপনাদের এই আবেদনটি পাঠায়। যেন মুক্তিযোদ্ধাদের কোটায় তাদের সন্তান ও নাতী-নাতনীদের ব্যবস্থা করা হয়। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আছি, আর সব সময় থাকব। 

তিনি বলেন, আমি এসেই দ্বিতীয় দিন বলেছিলাম দাড়ি রেখে টুপি মাথায় দিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসা করে চাঁদা তুলবেন, হয় আপনি থাকবেন নয় আমি থাকব। সে কিন্তু এখন নাই। নারায়ণগঞ্জ থেকে সড়ে যাচ্ছে।

গার্মেন্টস থেকে চাঁদা নিবেন, আবার শ্রমিকদের নিয়ে শ্লোগান দিবেন। এখন কিন্তু গার্মেন্টস ঠিকভাবে চলছে। যারা অরাজকতা করেছিল তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে।