ড্রেন না থাকায় সড়কের দৈন্যদশা
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:৪০ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : এক সময় এই সড়কটি দিয়ে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষও পায়ে হেঁটে চলাচল করতেন। কিন্তু এখন সর্বদা মানব ব্যবহার্য ময়লা পানিতে সয়লাব থাকায় সড়কটি হেঁটে চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরার জায়গা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন জমে থাকা ময়লা পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একেবারে ঠেকায় না পড়লে কেউ ওই সড়ক মাড়াতে চান না।
মাঝে মাঝে দু’একটি ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলতে দেখা গেলেও ভারি যানবাহন চলাচল এক রকম বন্ধই রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সড়কের চানমারি এলাকার ‘ফরিদা ভবন’ থেকে ইসদাইর রাবেয়া হোসেন হাইস্কুল পর্যন্ত অংশটুকুতেই এ দৈন্যদশা বিরাজমান।
সড়কটির পশ্চিম পাশে জনবহুল আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠেছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস এবং দু’টো স্কুল। এলাকাবাসী এবং অফিসের লোকজন নিরুপায় হয়ে এক হাতে নাকে রুমাল চেপেএবং অন্য হাতে পরনের কাপড় উঁচিয়ে চলাচলে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরো করুণ।
সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে রয়েছে উপ-পরিচালকের কার্যালয় , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ডে কেয়ার সেন্টার,কৃষি মন্ত্রণালয়ের জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস,যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়, ট্রাফিক অফিস এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়। ইসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও এ সড়কের পাশেই অবস্থিত।
এলাকার চা-দোকানী সুলতান আহমেদ জানান,আগে সেনাবাহিনীর জায়গা দিয়ে এলাকার ময়লা পানি সরে যেতো। কিন্তু বছর দুয়েক আগে সেনাবাহিনী উঁচু দেয়াল দিয়ে তাদের জায়গায় উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
আর তখন থেকেই এলাকাবাসীর কপালে নেমে আসে এ দুর্ভোগ। তিনি বলেন, সড়কটি পাকা করার সময় ড্রেন নির্মাণের দাবি জানালেও এলাকাবাসীকে পাত্তা দেননি ঠিকাদার।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন সাজনু বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি ) ড্রেন নির্মাণ করে না বিধায় আমার কিছুই করার ছিলো না।
আর্মিরা তাদের প্রয়োজনে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার পর এলাকাবাসী মাননীয় এমপি মহোদয়ের কাছে একটি দরখাস্ত দেন। আমি এমপি মহোদয়কে বিস্তারিত জানিয়েছি।
‘ফরিদা ভবন’ এর মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার বলেন, আমাদের এলাকাটি আগে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ছিলো। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর পরই এলাকাটি সিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
এ খবরটি আমার মতো মেয়র ডা. আইভীও জানতেন না বলেই মনে হয়। আমি মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার বাড়ির টেক্স ফ্রি করে দেয়ার কথা জানান।
ড্রেনের ব্যাপারে সিটিতে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাইকা’র অর্থায়নে ড্রেন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আসগর হোসেন জানান, খুব শীগগীরই ড্রেন নির্মাণের কাজ ধরা হবে । টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।