৫নং ঘাটে ইজারাদারদের উদাসীনতায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:২৮ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৯ রোববার
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নগরীর ৫নং খেয়াঘাট দিয়ে যাতায়াত ও নৌকা পারাপারের সময় শীতলক্ষ্যার দু’পারের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। যাতায়াতের জন্য ঘাট ভাড়া এবং অতিরিক্ত নৌকা ভাড়া দিয়েও রেহাই পাচ্ছেনা কেউ!
নদীর এপার-ওপার দু’পাড়ের যাত্রীরা নৌকায় উঠার সময় লম্বাটে সরু সিঁড়ি বেয়ে নামতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। এরপর আবারো ঝুঁকি নিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নির্মিত সংকুচিত নড়বড়ে পুল দিয়ে পার হয়ে নৌকায় উঠতে হয়।
নৌকায় উঠতে গিয়ে অহরহই ঘটছে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা! এসবে তদারকি নেই কর্তৃপক্ষের কিংবা ঘাট ইজারাদারদের। ঘাটে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা না থাকায় ছোট্ট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে কখনো ২৫ জন আবার কখনো ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একসাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ৫নং খেয়াঘাটটি দিয়ে বন্দরের কদম-রসূল, ইস্পাহানি, চিতাশালসহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। যেখানে ইজারাদারকে ২ টাকা করে দিয়েও নিয়মিত ট্রলার না থাকাতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অতিরিক্ত ২ টাকা ভাড়া দিয়ে নদী পার হচ্ছেন সবাই।এর মধ্যে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। যাত্রীরা হরহামেশাই পড়েন দূর্ঘটনার কবলে।
নৌকা থেকে নেমে রাস্তায় উঠার সময় বেশকিছু জায়গা মেরামতের অভাবে এবরোথেবড়ো হওয়াতে অনেকেই অল্পতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে! কেউবা পা পিছলে লুটিয়ে যাচ্ছে মাটিতে! অন্যদিকে বি.আই.ডাব্লিউ.টিএ’র ভাসমান জেটি থেকে নৌকা অথবা ট্রলারে উঠতে গিয়েও কষ্টের সীমা থাকছেনা সাধারণ মানুষের। আর এসবের জন্য সকলেই দোষ দিচ্ছেন ইজাদারদের।
ইস্পাহানির এক বাসিন্দা আক্তার মিয়া এবিষয়ে বলেন, আমরা প্রতিদিন ঘাট পারাপারের সময় টাকা দিচ্ছি অথচ এরা মানুষের কষ্টের কথা এরা বিবেচনা করেনা। ইজারাদার এখান থেকে টাকা খাচ্ছে। কিন্তু আমাদের নৌকায় উঠার সু-ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না। প্রায় সময়ই এখানে লোকজন নৌকায় উঠার সময় পানিতে পড়ে যায়। আবার ব্দ্ধৃ মানুষ হলে তো তাদের কষ্টের সীমা থাকেনা। এছারা ট্রলারও ঠিকমত চলে না এখানে।
নারায়ণগঞ্জ কলেজে অধ্যায়নরত এক শিক্ষার্থী ইলমা ইসলাম বলেন, আমরা প্রায় সময়ই এখানে ভোগান্তির শিকার হই। এখন তো শুকনো মৌসুম তাই একটু কষ্ট কম হয়, কিন্তু যখন বর্ষাকাল আসে তখন প্রায় আমরা নৌকায় উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে যাই! আর রাতে এখানে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা থাকে না।
৫নং খেয়াঘাটে এই সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের দাবি এখানে ঘাট ইজারা দেয়ার সময় তাদের যাত্রীদের সেবাপ্রদানের ধরণ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। ইজারাদার দেয়ার পর ইজাদারদের দায়সারাভাবে ঘাট চালানোর বিষয়টিও কর্তৃপক্ষের নজরদারি থাকা উচিৎ। তাদের প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো মনিটরিং করতে হবে। তাহলেই কেবল এ সমস্যা লাঘব করা সম্ভব। একই সাথে ঘাটে যাত্রীদের উঠানামার সিড়ির মেরামতের দায়দায়িত্বও এড়াতে পারেনা কর্তৃপক্ষ।