রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘আইএস বধূ’ শামিমার সন্তান মারা গেছে

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ৯ মার্চ ২০১৯ শনিবার

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী ও আইএস বধূ নামে পরিচিত শামিমা বেগমের সদ্যজাত সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ার একটি শিবিরে শিশুটি মারা গেছে। সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) এ কথা জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।


এসডিএফ মুখপাত্র মুস্তফা বালিকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার (৮ মার্চ) একাধিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এক শিবিরে মারা গেছে শামিমার সন্তান জারাহ। এর বেশি বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।


আলাদাভাবে এক প্যারামেডিকের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মৃত্যুর সময় শিশুটির বয়স হয়েছিল কেবল তিন সপ্তাহ। বৃহস্পতিবার ফুসফুস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় জারাহ। জন্মের পর থেকেই তার শ্বাসজনিত সমস্যা ছিল।


শামিমার আইনজীবী তাসনিমে আকুনজিও শিশুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এক টুইটে তিনি জানান, তিনি শুক্রবার শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়েছেন।

 

আইএস বধূ
১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’র সঙ্গে যোগ দিতে দুই সিরিয়া যায় শামিমা ও তার দুই বান্ধবী। এর আগে পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা ছিল সে। চার বছর পর গত মাসে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পত্রিকা দ্য টাইমসের এক সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শিবিরে তার খোঁজ পায়। 

১৯ বছর বয়সি শামিমা জানান, তিনি জারাহকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বাস করতে চান। তিনি আরও জানান, এর আগে সিরিয়ায় অপুষ্টি ও রোগের কারণে তার আরও দুই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। জারাহ’র জন্ম হওয়ার পর স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামিমা বলেন, আমি এখানে থাকতে চাই না। আমি আমার শিশুকে এখানে রাখতে চাই না। আমার ভয় হয় যে, সে এই শিবিরে মারা যাবে।

 

নাগরিকত্ব বাতিল
গত মাসে যুক্তরাজ্যে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলে শামিমার নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ সরকার। তবে জানায় যে, তার সন্তান একজন ব্রিটিশ নাগরিক। যদিও, ওই শিশুকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা খুব কঠিন কাজ হবে।

 

শামিমার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অভিযোগ, শামিমার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে- ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি। কিন্তু তার পরিবার এই দাবি অস্বীকার করেছে।

 

এদিকে বাংলাদেশ সরকারও শামিমার দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, শামিমার বাংলাদেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে বলে যে বক্তব্য এসেছে তা মিথ্যা এবং বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনায় উদ্বেগ জানাচ্ছে।

 

শামিমার পরিবার ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে।