রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫৬

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯ রোববার

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে উদ্যাপনের সময় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে বোমা হামলায় ১৫৬ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশি। এএফপির খবরে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। হাসপাতাল ও পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, ঘটনায় আহত ব্যক্তির সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। 


রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ইস্টার সানডের আয়োজন ঘিরে রাজধানী কলম্বো ও তার পাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। দেশটির পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।


আক্রান্ত তিনটি গির্জা হচ্ছে কচিহিকাডে, নেগোম্বো ও বাটিকালোয়া। এ ছাড়া হোটেল তিনটি হলো কলম্বোর শাংগ্রিলা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবারি।


পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শুধু কলম্বোর উত্তরের সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জাতেই নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৫০-এর বেশি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, গির্জাটির ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গির্জার বেঞ্চে রক্ত লেগে রয়েছে। মেঝেতে লাশ ছড়িয়ে রয়েছে। বাটিকালোয়া গির্জায় আরও ২৫ জন নিহত হয়েছেন।


শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, দুজন বিদেশি নিহত হওয়ার কথা শুনেছেন তিনি। তাঁরা কোনো দেশের নাগরিক, তা শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি। এ ঘটনায় হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।
২০০৯ সালে তামিল টাইগার গেরিলাদের সঙ্গে সেনাদের লড়াইয়ের সময় দেশটিতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটত। এক দশক আগে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। তারপর এই প্রথম দেশটিতে বড় ধরনের বোমা হামলা হলো।


বোমা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভা আহ্বান করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।


টুইটারে এক টুইটে সিরিসেনা বলেন, ‘আজ আমাদের জনগণের ওপর যে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। এই দুঃখজনক সময়ে সব শ্রীলঙ্কানদের এক হওয়ার ও শক্ত থাকার আহ্বান জানাই। দয়া করে যাচাই-বাছাই না করে বিকৃত ও ধারণাপ্রসূত প্রচারে কান দেবেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।’


শ্রীলঙ্কার মোট ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৭০ শতাংশ বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। সেখানে হিন্দু ১২ দশমিক ৬ শতাংশ, ৯ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলমান ও ৭ দশমিক ৬ শতাংশ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।