শ্রীলঙ্কায় হামলা, ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ করেছে দেশটির পুলিশ। ভয়াবহ ওই হামলায় ২৫৩ জন নিহত এবং আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আত্মঘাতী হামলাকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বুধবার নিশ্চিত করেছেন যে, দুটি বিলাসবহুল হোটেলে দুই ভাই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। তারা কলম্বোর একটি ধনী পরিবারের সন্তান। ওই পরিবারটি মসলা রফতানি করে থাকে।
জঙ্গিরা এক একটি স্থানে এক একজন আত্মঘাতীকে পাঠিয়েছিল। তবে ব্যতিক্রম ছিল সাংরি লা হোটেল। সেখানে দু'জনকে পাঠানো হয়েছিল। তারা দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়।
সাংরি লা হোটেলের হামলাকারীদের একজন হলেন জাহরান হাসিম। তিনি স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের নেতা। ওই হামলার জন্য দেশটির সরকার তাওহীদ জামাতকে দায়ী করে আসছে। যদিও হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। সম্প্রতি তাওহীদ জামাতসহ দুটি ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা।
সাংরি লা হোটেলে ইলহাম আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট বেধে হামলা চালায় জাহরান হাসিম। অপরদিকে ইলহামের বড় ভাই ইনসাফ আহমেদ কাছাকাছি চিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলে হামলা চালায়।
হামলার তৃতীয় স্থান ছিল কিংসবারি হোটেল। সেখানে হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ আজম মুবারক মোহাম্মদ। তার স্ত্রী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন।
সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ মুয়াজ। তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে সেন্ট সেবাসতিয়ান গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ হাসথুন। তিনি পূর্ব উপকূলের বাসিন্দা। হাশিমও ওই এলাকার বাসিন্দা। পূর্বাঞ্চলীয় বাতিকালোয়া জেলার ক্রিশ্চিয়ান জিওন গির্জায় হামলা চালিয়েছে মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ আসাদ।
অপর এক ব্যক্তি আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তবে সে তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটায় রাজধানীর কাছে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসে। ওই ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ। তিনি ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশুনা করে শ্রীলঙ্কায় বসবাস করছিলেন।
অপর এক স্থানে হামলা চালান ফাতিমা ইলহাম নামের এক নারী। তিনি অপর এক আত্মঘাতীর স্ত্রী। তিনি তার সঙ্গে থাকা বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটালে তার দুই সন্তান এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।