শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদ সালামি নেওয়ার ব্যাপারে আমি একটু কৌশলী ছিলাম : জিএম আরমান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ৩১ মে ২০১৯ শুক্রবার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): ঈদ মানেই খুশির দিন। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই ধনী গরিবের ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে পাশে টেনে নেয়ার উজ্জলতম একটি দিন। আর এই দিনটিকে ঘিরে চারদিকে শুরু হয় খুশি আর আনন্দের বন্যা। তাই প্রতিবারের মতো ঈদ উপলক্ষে যুগের চিন্তা ২৪’র বিশেষ আয়োজন ঈদ আড্ডায় ঈদের খুটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শাহজাহান দোলন।

 

ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জিএম আরমান বলেন, ঈদ আসলে আলীনগরের (বন্দর) গ্রামের বাড়িতেই করি। আবার মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতেও করি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে করা হয়।

 

ঈদের দিন বিশেষ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের দিন বিশেষ পরিকল্পনা বলতে তেমন কিছু নেই। তবে সকালে ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়তে যাবো। বন্ধুদের সাথে দেখা করা। নেতাকর্মীদের সাথে একটু কুশল বিনিময় করা, টেলিফোনে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো। এরপর বাড়িতে ফিওে ছেলে, স্ত্রীসহ অন্যান্যদের নিয়ে সেমাই খাওয়া। তাছাড়া বড় জয়দপ পুরের কাগজি লেবু দিয়ে খিচুরি ও গরুর মাংস আমার অনেক প্রিয়। বিকেলে বাচ্চাদের নিয়ে বাহিরে বেরুতেও আমি পছন্দ করি।  

 

ঈদের কেনাকাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের কেনাকাটা শেষই বলা যায়। বাচ্চাদের পছন্দমত তাঁদেরটা কেনা হয়েছে এবং অমার জন্য ওই একটা পাঞ্জাবি হলেই হয়। ঈদের কেনাকাটা সাধারনত আমার ওয়াইফ’ই (স্ত্রী) করে। আমি তেমন একটা সময় পাইনা আর বিভিন্ন মার্কেটে যাওয়াটা আমার কাছে ভালো লাগেনা।

 

ছোট বেলার ঈদ আর এখনকার ঈদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলেই মনে করেন জিএম আরমান। তিনি জানান, ঈদ ছাড়াও তাঁর মধ্যে এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়েও এক ধরণের উন্মাদনা কাজ করছে। বলেন, আমি ক্রিকেট পছন্দ করি, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহম্মেদ আমার ভাগ্নে নাফীস আহম্মেদ আমার ভাগ্নে বোনের ছেলে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ক্রিকেটার তো আমার পরিবারেই আছে। সেই সুবাদেও ক্রিকেট আমাকে দেখতে হয়। এবার আমি আশাবাদী যে, বাংলাদেশ দলের প্লেয়ারদের যেই একটা স্পীড নিশ্চয়ই তাঁরা দেশের জন্য ভাল কিছু করবে।

 

ছোটবেলার ঈদ আর এখনকার ঈদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে বলেই মনে করেন জিএম আরমান বলেন, ছোটবেলায় আব্বা আম্মা যে নতুন কাপড় কিনে দিতেন এগুলো খুব আনন্দ পেতাম। ঈদের যদিও আগেও কেনা হতো তবুও ঈদের ড্রেসগুলো খুব যতœ সহকারে রাখতাম। একটু পরপর এসেই দেখতাম। কল্পনা করতাম এই ড্রেসটা পড়ে বেড়াতে যাবো বড়দের সালাম করবো। তো সেই আনন্দটা তো এখন আর নেই। এখন এগুলো আমাদের ছেলেমেয়েরা করে। এবং আমার বাবা ও মা কেউই এখন আর বেঁচে নেই মা যখন ছিলো তখন তাঁর হাতের খিচুরিটা অনেক ভালো লাগতো আমার বন্ধুরাও আসত খেতে। এখন বাবা মা নেই তাঁদের কথা মনে পরে এটাই বড় পার্থক্য।

 

ঈদের সালামি নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আগে আমি ঈদ সালামি নেওয়ার ব্যাপারে একটু কৌশলী ছিলাম। আমার ছোট ভাই এবং বোনদের ছাড়াই আমি একা সবার কাছ থেকে গিয়ে সালামি নিয়ে আসতাম কারণ ভাবতাম যে, যদি তাঁদের সঙ্গে নেই তাহলে তো তাঁদেরকে ভাগ দিতে হবে। তাই সুফলও পেতাম দিনশেষে টাকার দিক থেকে আমার পাল্লাটাই ভারি থাকত।

 

সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে জিএম আরমান বলেন,  আমার পক্ষ থেকে দেশবাসী এবং আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদের জন্য ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইল। পাশাপাশি দোয়া রইল যাতে, সকলে একসাথে মিলেমিশে ঈদ উদযাপন করতে পারে।