ভালো জামা পেতে বাবামায়ের বাধ্য ছেলে হয়ে যেতাম:এডিসি মাসুম বিল্লাহ
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:৩২ পিএম, ২ জুন ২০১৯ রোববার
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : শৈশবে যে ঈদ মানেই ছিল নানা পরিকল্পনা। কিন্তু সেই আনন্দ এখন পেশা জীবনে আবদ্ধ। নিজের ঈদ আনন্দ ভুলে জেলার মানুষের ঈদ আয়োজন নির্বিঘœ ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ) মো. মাসুম বিল্লাহ। ঈদুল ফিতর উদযাপন নিয়ে যুগের চিন্তা ২৪ এর সাথে কিছু স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি । সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নুসরাত জাহান সুপ্তি।
ঈদ উদযাপন প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, নারায়নগঞ্জবাসীর ঈদ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। নিজের ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি করার সময় নেই। পরিবারের জন্য কেনাকাটা সম্পর্কে বলেন, সারাদিন এতো ব্যস্ততার মধ্যে থাকি কেনাকাটার সময় করে উঠতে পারি না। এই শুক্রবারে কেনাকাটা করব ভাবছিলাম। কিন্তু প্রাইমারী শিক্ষকের পরীক্ষার জন্য সেই সময় করে উঠতে পারব না। দেখি এর পরে সুযোগ পেলে করে ফেলব। আর পরিবারে কেনাকাটার জন্য সময় দিতে পারি না। ঈদের দিনটা কাটানো নিয়ে বলেন, ঈদের দিন লাখো নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে একসাথে ঈদগাহে নামাজ পড়ব।
ঈদ নিয়ে বিশেষ কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানান প্রশাসনিক এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ঈদে কোন বিশেষ পরিকল্পনা করা সময় নেই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জবাসীর নিরাপত্তা ও আনন্দের জন্য সার্বিক ব্যবস্থা করছি। জেলার সকলের ঈদ আনন্দদায়ক হলেই আমি খুশি।
ঈদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ঈদে পাড়ার মুরুব্বিদের সাথে ভালো সম্পর্ক করে তুলতাম যেন ঈদে দুষ্টামি করলে তারা কঠোর হয়ে না যায়। বেশি দুষ্টামি করে যেন তাদের না বকা খেতে হয় এর জন্য আগেই ব্যবস্থা করে রাখতাম। রাতে সবাই মিলে খেলাধুলা করা, আর সবাই মিলে গল্প করা। এগুলোর মাঝেই ছিল ঈদ আনন্দ।
শৈশবের ঈদের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে বলেন, ঈদের ভালো জামা পাওয়ার জন্য বাবা-মায়ের বাধ্যগত ছেলে হয়ে যেতাম। এতো অনুগত থাকতাম যেন বাবা-মায়ের মনে হয় আমার ছেলেটা এতো ভালো। ভালো ভেবে আমারে যেন সবচেয়ে ভালো জামাটা কিনে দেয়। আত্বীয়-স্বজনের সাথেও যোগাযোগ ব্যবহার করতাম যেন তাদের থেকেও পছন্দের পুরস্কারটা পাই। ছোট বেলা থেকেই ঈদে পছন্দের খাবার জর্দা। এটা ছাড়া এখনো ঈদকে ঈদ মনেই হয় না।
ঈদে সালামির স্মৃতিচারণ করে মাসুম বিল্লাহ জানান, ঈদ সালামির জন্য ছিল বিভিন্ন কৌশল ছিল। তবে একবারের ঈদের সেলামির ঘটনা সবসময়েই মনে পড়ে। আমার বড় বোন শিক্ষক। আমার বোন প্রতিবারই ঈদে বেশি সালামি দেয়। কিন্তু সেই বার আপার যে সমস্যা চলছিল সেটা আমি জানতাম না। বোন ঈদে শ্বশুর বাড়ি থেকে আমাদের বাসায় আসার পরেই ওর পা শক্ত ধরে বসে পড়লাম। বললাম, ঈদের সালামি দেও। আপা বলল, তুই তো আমারে বিপদে ফালাই দিলিরে। আমি আসছি এবার মায়ের থেকে টাকা নিতে। সেই বার ঈদে সালামি নিতে গিয়ে আপার কাছে যে ধরাটা খাইলাম। সেটা খুব মনে পড়ে।
শুভানুধ্যায়ী ও নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে এডিসি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঈদের আনন্দ নির্মলভাবে উপভোগ করবেন সকললে এই প্রত্যাশা করি। এমনভাবে উপভোগ ভাবে উপভোগ করব যেন অন্যের কোন ক্ষতি না হয়। আর আমার এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা।