সৌদি আরবের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্ক!
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:১৬ পিএম, ৮ জুন ২০১৯ শনিবার
ডেস্ক রিােপার্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : রমজানের শেষে মঙ্গলবার সৌদি আরবের ঈদ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেক দেশই পবিত্র রমজান মাস আরও একদিন স্থায়ী হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন।
রমজানের শেষে যখন নতুন ক্রিসেন্ট (অমাবস্যার পরে প্রথম চাঁদ) দেখতে পাওয়া যায় তখন ঈদের উৎসব শুরু হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ সোমবার সূর্যাস্তের কয়েক মিনিট পরে এই নতুন চাঁদ দেখার দাবি করেছিল। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে, সোমবার পৃথিবীর কোন স্থান থেকে চাঁদ দেখা প্রায় অসম্ভব ছিল। আর জোতির্বিজ্ঞানীদের এ দাবি সৌদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সৌদি আরবের প্রতিবেশী দেশ মিশর বলেছে যে, সোমবার রাতে চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মঙ্গলবারও মুসলমানরা রোজা পালন করবে। মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি শওকি আলম কর্তৃক নেয়া এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কায়রোর আল-আজহার মসজিদটি সুন্নি স্কলারশিপের অন্যতম প্রধান হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো অন্যান্য বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো সৌদি আরবের পরের দিন উদযাপন করে।
এ বিতর্কের কারণে ব্রিটেনের মসজিদগুলো চন্দ্র ক্যালেন্ডারে ব্যপারে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। লন্ডনের মসজিদগুলোর সমন্বয় কমিটি এবং ইসলামী কেন্দ্রগুলো সৌদি আরবের চাঁদ দেখা অনুসরণ করে। কিন্তু বার্মিংহামের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরকে অনুসরণ না করে বুধবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই বিতর্ক নিউ ক্রিসেন্ট সোসাইটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইমাদ আহমেদকে হতাশ করেছে। তাঁরা সোমবার সন্ধ্যায় সাধারণ জনগণের জন্য চাঁদ দেখার ব্যবস্থা করেছিলেন।
এ ব্যাপারে ইমাদ আহম্মেদ বলেন, সৌদি আরবের চাঁদ দেখা ‘অসম্ভব’ এবং এটিকে ‘নতুন বিশ্ব রেকর্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। তিনি সৌদির ঘোষণার উপর নির্ভর করার পরিবর্তে ইসলামী ঐতিহ্য অনুসারে রমজানের শুরু ও শেষ নিশ্চিত হতে স্থানীয়দেরকে চাঁদ দেখার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য তিনি গ্রীনউইচের রয়্যাল ওবসারভেটরির সাথে কাজ করছেন। তথ্য সূত্র : মর্নিং স্টার