রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দাবিতে কানাডায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার
ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবিতে কানাডায় ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবুর গ্রুপের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শিত ছবিতে রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন বাবু।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) কানাডার টরেন্টো ডেনটোনিয়া পার্কে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শুরু হয়।
ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আব্দুল গফফার এর সভপতিত্বে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন ভাষা সৈনিক জনাব শামসুল হুদা।
ভাষা সৈনিক শামসুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি ক্ষুদ্র দেশের পক্ষে এতোগুলো রোহিঙ্গার দায়ভার একা বহণ করা সম্ভব না। রোহিঙ্গা সংকট ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই সমস্যাটি সমাধানে বিশ্বের অন্যান্য দেশেগুলোর বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা উচিত। অন্যথায় সামনে বিশ্ববাসীকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন কানাডা ইমিগ্রেশন, রিফোজি ও নাগরিকত্বমন্ত্রী আহমদ ডি হোসেইন, এমপি সালমা জাহিদ, এমপিপি রিমা বার্ন্স-মেকগ্রো, এমপিপি ডলি বেগম ও এমপিপি মাইক্যাল কটিঊসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাশ্রম প্রধান করেন সোহেল শাহরিয়ার রানা, শারিফুল হক ও মম কাজী।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহমদ ডি হোসেইন বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা রিফোজিদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনে কানাডিয়ান সরকার বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে।
এমপি সালমা জাহিদ বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি কানাডা সরকার ও প্রধানমন্ত্রীজাস্টিন ট্রুডুর বিশেষ নজরে আছে।
এমপিপি মাইক্যাল কটিঊ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে এক মহৎ দায়িত্ব পালন করেছেন, এখন বিশ্ববাসী এই দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে হবে। কানাডিয়ান সরকার ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহব্বান জানাই রোহিঙ্গা রিফোজিদের মায়ানমারে পূর্ণ নাগরিত্ব দিয়ে পুর্নবাসন করাতে এগিয়ে আসুন।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা ফোজিত শেখ বাবু বলেন, শুরুতেই ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। যিনি মমতায়ী মায়ের মতো নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি শুধু রোহিঙ্গাদেরই আশ্রয় দেননি, তিনি আশ্রয় দিয়েছেন পুরো বিশ্ব বিবেক ও মানবতাকে। বর্তমানে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক শান্তির দেশ এটাই তার প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ যে আশ্রয় দিয়েছে এর অর্থ এই নয় যে তাদেরকে সারা জীবন রাখতে হবে। একটি বৃহৎ জাতিগোষ্ঠীর মাঝে ক্ষুদ্র কোন জাতিসত্ত্বা বসবাস করলে সেই জাতির প্রতি মানবাধিকার লংঘিত হয়। সেখান থেকে জন্মনেয় বিভিন্ন উশৃঙ্খল গ্রুপ। তাই এই রোহিঙ্গারা শুধু বাংলাদেশের হুমকি নয়। হুমকি সারা বিশ্বের জন্য। আর এই ব্যাপারে সকলের সজাগ দৃষ্টি ও সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশের পক্ষে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
অন্যান্য বক্তারাও এই সমস্যা সমাধানে কানাডা, আমেরিকা, চীন, রাশিয়াসহ মোড়ল দেশগুলোকে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।