বছর জুড়েই পানির নিচে সড়ক, ভোগান্তিতে চাঁনমারীবাসী
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
শাহজাহান দোলন (যুগের চিন্তা ২৪) : দুই বছরেও সংস্কার হয়নি চানমারীর আর্মি মার্কেট থেকে ইসদাইর রাবেয়া স্কুল পর্যন্ত সড়কটি। সংস্কারের অভাবে বছর জুড়ে জলাবদ্ধতায় সড়টি বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চানমারী এলাকাবাসীকে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সংলগ্ন চানমারীর আর্মি মার্কেটের বাম দিক থেকে ইসদাইর রাবেয়া স্কুল পর্যন্ত রাস্তাটিতে হাঁটু পরিমাণ ময়লা পানি। সড়কটি পানিতে থইথই করছে। রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আবাসিক ভবন ও আশে পাশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে আছে পুরো সড়কটি।
অথচ এ রাস্তাটির পাশেই রয়েছে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস, জেলা বীজ প্রত্যায়ণ অফিসারের কার্যালয়, বাংলাদেশ মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডে-কেয়ার সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু এই জলাবদ্ধতার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে আগত সাধারণ মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়ছে। ভোগান্তির কারণে জেলা ট্রাফিক অফিস ও মেরী স্টোপস ক্লিনিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানা যায়, মূলত রাস্তাটির বাম পাশে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বহুতল ভবন এবং কয়েকটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির নির্গত ময়লা পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সমস্ত পানি রাস্তার মধ্যেই জমা হয়। ময়লা পানি মাড়িয়ে র্দীঘদিন যাবৎ চলাচল করছেন এই এলাকার মানুষ। পথচারী, যাত্রী ও চালকেরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এ এলাকার মুদি দোকানদার মোহাম্মদ জসিম মিয়া বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে এই রাস্তার পাশেই আমার দোকান চালাই। আগে ময়লা পানি ডান পাশে খালের মধ্যে চলে যেতো। এখন সেই খাল বন্ধ করার পরে পানি রাস্তার মধ্যেই জমে থাকে। পানির কারণে আমাদের চলাচলের অনেক সমস্যা হয়। দোকান যখন এইখানে, বাধ্য হয়েই চলাচল করা লাগে।
এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা খুব কষ্ট করে প্রতিদিন অফিসে আসি। অনেক সময় রিকশা চালকরা ভিতরে আসতে চায়না। তখন এই পানি ভেঙেই আসতে হয়।
এ সময় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে দুই বছর আগে রাস্তাটি সংষ্কার করা হয়েছে।
কিন্তু সংস্কার হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় তা কোনো কাজে আসেনি। রাস্তাটির পাশেই (নাসিক) ১২ নং ওয়ার্ডের সীমানা হওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের কাছেই ড্রেন নির্মাণের আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে নাসিক ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হোসেন শকুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ রাস্তার পাশের ড্রেন ও রাস্তা আবার সংস্কারের করা হবে। এই রাস্তাটি কখনো আমাদের ছিলোনা, রাস্তাটি হলো এলজিইডির। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলেই আমরা করছি। কিছুদিন আগে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে। রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের জন্য এখন টেন্ডার আহ্বান করা হবে।