পুর্ব ইসদাইরে খালের অপরিকল্পিত সংস্কারকাজ কাজে ভোগান্তি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
ইউসুফ আলী এটম (যুগের চিন্তা ২৪) : পরিকল্পনা ছাড়া কাজ করলে সুফলের বদলে কুফল পাওয়ার আশংকাই বেশী থাকে। অনেক ভালো উদ্যোগও কখনো কখনো শুধুমাত্র অপরিনামদর্শিতার কারণে ভেস্তে যায়। প্রায় মাস তিনেক আগে পুর্ব ইসদাইরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি খালের সংস্কারকাজ অপরিকল্পিতভাবে করতে যেয়ে কর্তৃপক্ষকে হাত গুটিয়ে নিতে হয়েছে।
সাময়িকভাবে এখানকার কাজ বন্ধ রেখে ভাটির দিকে কাজ করা হচ্ছে বলে জানা যায়। কিন্তু এখানে প্রবাহমান ময়লাপানি আটকাতে গিয়ে খালের উপর ফেলানো মাটি না সরানোয় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। ছোট্ট নালা দিয়ে মন্থরগতিতে পানি সরছে। ফলে পানি জমে ফুলে গিয়ে উল্টোপথে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করছে।
জেলা পরিষদ ও এলজিইডি অফিসের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে সুগন্ধা মসজিদমুখি সড়কটি অনেক নীচু থাকায় প্রায় তিন বছর হাঁটু পানিতে তলিয়ে ছিল। পানি পার করতে রিকশাওয়ালারা ১০ টাকা করে নিত। গত বছর সড়কটি উঁচু করা হয়। সড়কটির দক্ষিণপাশ দিয়েই খালটি প্রবাহিত। পূর্বদিকে সড়কের প্রবেশমুখ ঘেঁষে সম্প্রতি স্থাপিত হয়েছে ‘ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ’। পাশের খালে জমে থাকা ময়লা পানির গন্ধ ঠেকাতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদেরকে নাক চেপে ধরতে হচ্ছে।
অপরদিকে, সড়কের দক্ষিণ দিকে যাদের বাড়ি আছে তারা খালের উপর দিয়ে পাকা সেতু বানিয়ে যাতায়াত করেন। জালাল নামে এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, খাল সংস্কারের কাজ ধরার শুরুতে বাড়িওয়ালাদেরকে যার যার সেতু ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। সবাই সেতু ভাঙ্গার প্রস্ততি নেয়। কয়েকজন ভেঙ্গেও ফেলেন।
নির্দেশ অমান্যকারীদের সেতু ভাঙ্গার জন্য একটি ভেকুও চলে আসে। পশ্চিমদিকে খাল শুরু হওয়া স্থানে আলহাজ্ব নান্নু মিয়ার ৬ তলা বাড়ির পাকা সেতু ভাঙ্গতে ভেকু লাগিয়ে একটি গাছ উপড়ানোর পর কাজ বন্ধ করে ভেকুটি সড়কের একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। টানা দু’রাত থাকার পর ভেকু চলে যায়। এই ফাঁকে খালের পূর্বপ্রান্তে মাটি ফেলা হয়। পরদিন কিছু মাটি সরিয়ে একটি নালা বানানো হয়।
এই খালটি দিয়ে পূর্ব ইসদাইরসহ বৃহত্তর ইসদাইর এলাকার কয়েক হাজার আবাসিক বাড়ির ব্যবহার্য পানি এবং ২৫টির মতো ডাইংয়ের বর্জ্য সিদ্ধিরগঞ্জ পাম্প হাউজে যায়। সেতু ভেঙ্গে বাড়িওয়ালা আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন বিপাকে পড়েন। তিনি প্রায় দু’সপ্তাহ তার প্রাইভেটকার বের করতে পারেননি। পরে একটি লোহার খাঁচা দিয়ে অস্থায়ী সেতু বানিয়েছেন।