মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঝুঁকি নিয়ে পথচলা : শহরের ফুটপাতে ভাঙা স্লাব 

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নানামুখী কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। কখনো সফল আবার কখনো চ্যালেঞ্জের মুুখোমুখি হচ্ছে তাদের। 


তবে বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে পথচারী চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে ভিন্ন কারণে। দুর্ঘটনারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতের নানাঅংশে স্লাব ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। 


একটু অসতর্ক হলে যে কেউ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন যে কোন সময়। রাতে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে সমস্যার মাত্রাটা বেড়ে যায়। 

কোথাও বৈদ্যুতিক খুঁটির মাধ্যমে লাইটের ব্যবস্থা নেই। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এসব স্লাববিহীন ফুটপাতে অনেকে দুর্ঘটনার কবলেও পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।  


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের নানা অংশে এমন বড় বড়  স্লাব ভেঙে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। সেসব গর্তে কোথাও বাঁশ আবার কোথাও লাঠি, খুঁটি দিয়ে সতর্ক করে দেয়া আছে। কিছু জায়গায় সেটিও করার প্রয়োজন মনে করা হয়নি।


কথা বলতে বলতে অথবা অসতর্ক অবস্থায় কেউ ফুটপাত দিযে হেঁটে যাবার সময় গর্তের ফাঁক গলে ড্রেনে ঢুকে পারতে পারেন। শিশুরা অভিভাবকদের সাথে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাবার সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা অনেক বেশি। 

শহরের ডিআইটি এলাকায় এমন চিত্রটি বেশি। সেখানে কোথাও হোগলার চাঁটাইম কোথাও ভাঙা ঝুড়ি আবার কোথাওবা বাঁশের লাঠি দিয়ে দায়সারা সতর্ক করার চেষ্টা করা হয়েছে। 


এছাড়া নিউ সমবায় মার্কেটের সামনে, আবার চাষাঢ়ায় একটি ব্যাংকের সামনেও এমন চিত্র দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই সতর্ক করে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। 


শওকত আলী নামে এক পথচারী জানান, অনেকদিন যাবৎ ড্রেনের স্লাবগুলো ভেঙে আছে। হাজারো মানুষ এফুটপাত ব্যবহার করে। কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও না দেখার ভান করে আছে। দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় নেবে কে? 


দ্বিগু বাবুর বাজারে বাজার করতে যাচ্ছেন গৃহিনী আফরোজা আক্তার। সাথে পাঁচবছর বয়সী মেয়ে নিশাত। তিনি জানান, প্রতিদিনই এই ফুটপাত দিয়ে হাঁটি বাচ্চাকে নিয়ে। ফুটপাতে হকার তো রয়েছেই, কিছু জায়গায় স্লাব ভেঙে গর্ত হয়ে আছে। বাচ্চাটা হাতছাড়া হলেই যে কোন সময় গর্তে পড়ে ব্যথা পেতে পারে। কিন্তু এসব দেখবে কে? 


শহরের স্থানীয় বাসিন্দা শাহআলম নামে এক ব্যাক্তি জানান, একদিন উচ্ছেদের সময় ভেকু দিয়ে এই পথ দিয়ে যাবার সময় কয়েকটি স্লাব ভেঙে যায়। তারপর থেকে এই অবস্থা। 


এমন অবস্থা রাতে মার্কেট খোলা থাকা অবস্থা পর্যন্ত আলো থাকে, কিন্তু এরপর অন্ধকার হলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেশি। দীর্ঘদিনেও কর্তৃপক্ষ এসবে নজর না দেয়ায়  স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণের মাঝে এনিয়ে ক্ষোভ জমেছে।


এব্যাপারে দৃষ্টিআকর্ষণ করলে সদ্য যোগ দেয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) আবুল আমিন যুগের চিন্তাকে জানান, ‘বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই এব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইঞ্জিনিয়ারদেরও ব্যাপারটি ভালোভাবে দেখার জন্য জানিয়ে দিচ্ছি।’