মুহিদ্দীন ইয়াসিন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:৪৮ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার
ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : অবশেষে সকল নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী নেতা মুহিদ্দীন ইয়াসিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ। তিনি আগামীকাল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় দেশটির অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সর্বসম্মতিক্রমে রাজা এ ঘোষণা দেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন দেশটির ২৪ বছরের প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত তাকে অর্ন্তবতীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা জারি করেন রাজা।
দেশটিতে রাজার পদটি আলঙ্কারিক। যিনি বেশিরভাগ আইনপ্রণেতার সমর্থন নিয়ে রাজার কাছে হাজির হবেন; রাজা তাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। নির্বাচন ছাড়াই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের স্থলে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলে তা মেনে নেয়া হবে না আগেই ক্ষোভ জানিয়েছে মালয়েশিয়ার নাগরিক সমাজ।
রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে পার্লামেন্টের ২২২ এমপির সাক্ষাৎকার নেন। বিগত দুই দশক ধরেই ক্ষমতার লড়াইয়ে মুখোমুখি ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইব্রাহীম। তবে আনোয়ার ইব্রাহীমকে পাশ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন মুহিদ্দীন ইয়াসিন।
মাহাথিরের সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মুহিদ্দীন ইয়াসিন। প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী করতে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের দল পিকেআরের ১১ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মুহিদ্দীনের নাম এর আগেই ঘোষণা করেছিল মাহাথিরের দল মালয়েশিয়ার ইউনাইটেড আদিবাসী পার্টি (বারসাতু)।
নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই মাহাথির আচমকা পদত্যাগ করেন বলে জল্পনা-কল্পনা চলছিল দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে। তার পদত্যাগের পর ৭৩ বছর বয়সী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে তার দলের জোটে ভাঙন ধরে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাককে হারিয়ে এই জোট বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে।
মালয়েশিয়ার রাজনীতির মঞ্চে সপ্তাহব্যাপী নানা নাটকীয়তার পর পদত্যাগ করেন মাহাথির। ‘প্যাক্ট অব হোপ’ নামে আনোয়ার ইব্রাহীম যে জোট গঠন করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন; সেই জোটের ভেতরে আনোয়ার বিরোধীরা এই নাটক মঞ্চস্থ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।