করোনায় আক্রান্ত দুই সহোদর থাকেন না’গঞ্জ, বাড়ি মুন্সিগঞ্জ
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ৮ মার্চ ২০২০ রোববার
যুগের চিন্তা রিপোর্ট : বাংলাদেশে তিন জন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের দুইজনই নারায়ণগঞ্জের বলে জানা গেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, তবে তারা স্থায়ীভাবে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা নন, স্থায়ী বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলায়। দুই সহোদর গত ৫ বছর ধরে ইটালিতে বসবাস করছিলেন। বছর দেড়েক আগে তাদের স্বজনরা নারায়ণগঞ্জে থানা পুকুরপাড় এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। গত মাসে তারা ইটালি থেকে বাংলাদেশে আসেন। ইমিগ্রেশন অতিক্রম করে নারায়ণগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠেন। চলতি মাসের ২ তারিখে করোনা সন্দেহে তারা দুইভাই নারায়ণগঞ্জের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এরমধ্যেই তাদেরকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে ফোন করা করা হয়। এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
তবে দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাইকে সার্বিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ৮ মার্চ রাতে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসময় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজও উপস্থিত ছিলেন। তবে আরেক ভাইকে ঢাকায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এরআগে রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে তিনজনকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন।
আইইডিসিআর-এর নিয়মিত ব্রিফিং এমন তথ্য জানানোর পরপরই শোনা যায় আক্রান্ত তিনজন রোগী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তবে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দুইজন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে নারায়ণগঞ্জের লোকজনদের আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সরকারিভাবে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা মেনে চলারও কথা বলেন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
এদিকে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, জ্বর ও কাশি নিয়ে এই তিন ব্যক্তি (নারায়ণগঞ্জের দুজনসহ) গতকাল আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তারা পজিটিভ প্রমাণিত হন। তবে তিনজনই ভালো আছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনজনেরই বিশেষ কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। করোনার চিকিৎসা হচ্ছে সিম্পটোমেটিক অর্থাৎ লক্ষণ উপসর্গভিত্তিক। তারা সেই চিকিৎসাই পাচ্ছেন, তাদের অন্য কোনও সাপোর্টিভ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি। তবে তারা আইসোলেশনেই থাকবেন। যতদিন পর্যন্ত পরপর দুটো নমুনাতে তারা নেগেটিভ প্রমাণ না হচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত তারা আইসোলেশনেই থাকবেন।