শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের লকডাউন তুলে নেয়ার পরিকল্পনা

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। এমন সময় আগামী মাসগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আবার শুরু করতে অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

 

সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিন স্তরে পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের লকডাউন। লকডাউন তুলে নেয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার সর্বাত্বক সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দেন ট্রাম্প। এছাড়াও কিছু রাজ্য চাইলে এ মাসের মধ্যেই খুলতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, লকডাউন তুলে নেয়ার প্রথম পর্যায়ে রেস্টুরেন্ট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কঠোর ভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার শর্তে খুলতে পারবে। এ সময় সকল গণ-জমায়েত বন্ধ রাখার কথা বলেছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা প্রকোপ কিছুটা কমে এলে স্কুল এবং পানশালা খুলে দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে। আর তৃতীয় পর্যায়ে যে সব রাজ্যে করোনা প্রকোপ কম দেখা যাচ্ছে সেখানে জনগণ সামাজিক দূরত্ব একেবারে কমিয়ে দিতে পারবেন। পাশাপাশি পানশালাগুলো এবং রেস্টুরেন্টগুলোও তাদের কার্যক্রম বাড়িয়ে দিতে পারবে। লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে জনস্বাস্থ্য গুরুতর ঝুঁকিতে পড়তে পারে। মাদকের ব্যবহার, মদ্যপান, হৃদরোগ এবং অন্য শারীরিক ও মানসিক সমস্যা প্রবল বাড়তে পারে।

 

এ বক্তব্যের পরই হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার এবং ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি মন্তব্য করেন, নতুন নির্দেশনাগুলো ‘অস্পষ্ট এবং অসংলগ্ন’। নথিগুলো বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মানতে এবং দেশজুড়ে দ্রুত পরীক্ষার সরঞ্জাম তৈরি ও বিতরণ করতে প্রেসিডেন্টের ব্যর্থতা ঢাকতে কিছুই করতে পারবে না।


ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা বিশিষ্ট ১৮ পৃষ্ঠার ওই নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি আবারও সচলের তিন স্তরের পরিকল্পনার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। প্রতিটি স্তরের মেয়াদ হবে কমপক্ষে ১৪ দিন।

 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩০১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৩২ হাজার ১৮৬ জন। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ছাড়িয়েছে।