শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লাখ ছাড়ালো

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০১:৫৮ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২০ শনিবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নভেল করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা দুই লাখ ছুঁতে চলেছে। সাথে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লাখ ছাড়িয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে এভাবে দৈনিক পাঁচ সহস্রাধিক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে।


বিশ্বের ২১০টি দেশ ও দুটি আন্তর্জাতিক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষীপ্র গতির এই ভাইরাস। মাত্র ১১৬ দিনের মধ্যে আক্রান্ত করেছে ২৮ লাখ ১ হাজার ৬৪৯ জনকে। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৮ জনের। এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সেরে উঠেছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন।


আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩ হাজার ৭৭৫ জন। যা মোট আক্রান্তের প্রায় তিন ভাগের একভাগ। ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছে স্পেনে। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৪ জন।


ফ্রান্সে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮২৮ জন। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৫৯ জন। যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাস আক্রান্ত করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৪ জনকে। আর তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯১২ জন।


এ ছাড়া ইরানে ৮৮ হাজার ১৯৪, চীনে ৮২ হাজার ৮০৪, রাশিয়ায় ৬৮ হাজার ৬২২ ও ব্রাজিলে ৫১ হাজার ৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছে রহস্যময় এই ভাইরাসে। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মুহূর্তে তিনটি ভিন্ন ধারায় কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। প্রথমটি হচ্ছে- এন্টিভাইরাল ড্রাগ। এ ধরনের ওষুধ সরাসরি করোনা ভাইরাসকে আক্রমণ করবে, যাতে মানুষের দেহের ভেতর এই ভাইরাস টিকে থাকতে না পারে। 


দ্বিতীয় আরেক ধরনের ওষুধ যেটি মানুষের স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে সংযত রাখতে পারে। সাধারণত কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা তখনই গুরুতর সংকটে পড়েন, যখন তাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং এর ফলে তাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়।


তৃতীয় যে বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে, সেটি হচ্ছে অ্যান্টিবডি। শরীরে যখন কোনো রোগজীবাণুর আক্রমণ হয়, তখন স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তাকে পরাস্ত করে। এটি করতে গিয়ে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা এন্টিবডি তৈরি করে। এই এন্টিবডি শরীরে থেকে যায়। ফলে ভবিষ্যতে একই ধরনের ভাইরাস আমাদের শরীরে আর বাসা বাঁধার সুযোগ পায় না। করোনা ভাইরাস থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত থেকে পাওয়া এন্টিবডি নিয়ে এখন পরীক্ষা চলছে। ল্যাবরেটরিতে এন্টিবডি তৈরি করা যায় কিনা পরীক্ষা চলছে সেটি নিয়েও।