বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০১:২৯ এএম, ১ মে ২০২০ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহিত

ছবি: সংগৃহিত

রমজান মাস রহমত, বরকত, মাগফেরাত, নাজাতের মাস। এই রমজান মাসে আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা করার মহা সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই মাসেই সুযোগ সকল গুনাহ জন্য তাওবা করার। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই পারে মানুষকে মুক্তি দিতে। 


দুনিয়ার এ জীবনে বিপদ আসেই। নানান সময় নানান দিক থেকে বিপদ এসে হামলে পড়ে আমাদের ওপর। অর্থসম্পদ, সন্তানাদি, সম্মান-মর্যাদা আক্রান্ত হয় সব কিছুই। দুনিয়ার জীবনে এ বিপদের মুখে পড়ার কথা অবশ্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে- ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব সামান্য ভয় ও ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফসলের কিছুটা ক্ষতি দিয়ে।’ আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও- যাদের ওপর কোনো মুসিবত এলে বলে- ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’। অর্থাৎ নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর আর অবশ্যই আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’ (সূরা বাকারা : ১৫৫-১৫৬)।


ইসলামী জীবনধারায় রমজানের যে সাংস্কৃতিক আবহ, তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে খোদাপ্রেম, আত্মশুদ্ধি ও তাওবার প্রেরণা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, পবিত্র রমজানের রোজা মুসলমানদের আত্মশুদ্ধির পথ দেখায়। পাপাচার, অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন, অকল্যাণের অন্ধকার থেকে আলো ও কল্যাণে প্রত্যাবর্তনের পথ দেখায় রমজানের রোজা।


আল্লাহর অফুরন্ত রহমত ও সীমাহীন ক্ষমার সুবিশাল ভাণ্ডারের দরজা খুলে যায় পবিত্র রমজান মাসে। রমজান রোজা রেখে আল্লাহ তাআলার কাছে ইবাদতের মাধ্যমে অধিকতর কল্যাণ পাওয়ার অবারিত সুযোগ নিয়ে আসে প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর জীবনে। 


মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদিস থেকে জানা যায়, ‘মহান আল্লাহ রাতের বেলা তার হাত প্রসারিত করেন, যাতে দিনের অপরাধীরা তওবা করতে পারে, আর তিনি অনুরূপ দিনে তার ক্ষমার হাত প্রসারিত করেন, যাতে অপরাধীগণ তওবা করতে পারে। এমন চলতে থাকে যতক্ষণ না সূর্য পশ্চিমাকাশে উদিত হয়।’ -সহিহ মুসলিম: ২৭৫৯


আল্লাহতায়ালার ক্ষমাশীলতার সীমা-পরিসীমা নেই। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে আল্লাহর ক্ষমার মহাসমুদ্রের কথা বার বার উল্লেখিত হয়েছে। মহিম্বান্বিত সত্তা! আমাদের সর্বদা অপরাধ সত্ত্বেও আমাদের দান করেন, ক্ষমা করেন। বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধ করতে থাকে এবং অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা ভিক্ষা করে, আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করতে থাকেন। ক্ষমা করার ক্ষমতা ও এখতিয়ার একমাত্র আল্লাহরই রয়েছে। কারণ তিনিই একমাত্র মালিক সারা জাহানের। অতএব তারই (মালিকের) রয়েছে ক্ষমার মহান গুণ ও ক্ষমা করার পূর্ণ এখতিয়ার ও ক্ষমতা।


পরিশেষে আমরা বলতে পারি আমরা এই রমজান মাসকে ইবাদতের মাধ্যমে কাটানোর চেষ্টা করবো। কারণ একমাত্র আল্লাহ তাআলাই পারে আমাদের মাফ করতে। আর এই রমজান মাসেই তাওবা করার উপযুক্ত সময়। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে রোজা রেখে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রার্থনা করি যেন আল্লাহ তাআলা আমাদের এই মহামারি করোনা থেকে উদ্ধার করে। আমিন।