চলতি বছরে বাজারে আসবে করোনার ভ্যাকসিন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ৬ মে ২০২০ বুধবার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মান ফার্মাসিটিউকাল কোম্পানি বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অপর কোম্পানি ফাইজা যৌথভাবে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করছে। সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই যৌথভাবে তাদের গবেষণা চালাচ্ছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনার সম্ভাব্য যে ৮টি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক জানিয়েছে, এই বছরের শেষে ভ্যাকসিনটি বাজারে আসবে।
জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উগুর সাহিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএএনকে আজ বলেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে অনুমোদন পেলে ২০২০ সালের শেষ দিকে ভ্যাকসিনটির কয়েক লাখ ডোজ উৎপাদন করতে পারবে তারা।
বায়োএনটেক বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, গত ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জার্মানিতে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে বিএনটি১৬২ নামের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। পরবর্তী ধাপে আরও ২০০ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে তা প্রয়োগ করবে; যাদের বয়স হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রে মানবদেহে প্রয়োগের জন্য দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনের মার্কিন অংশীদারি কোম্পানি ফাইজার জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে তারা ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগ করবে। আগামী শরৎ এর মধ্যে যা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে।
মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে ১০৮টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে সম্ভাব্য এই ১০৮টি ভ্যাকসিনের মধ্যে ৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অর্থাৎ মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে।