রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নায়ক সাত্তার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন

স্টাফ রিপোর্টার 

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:২৫ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২০ বুধবার

ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে এক মাইলফলক সিনেমার নাম ‘রঙিন রূপবান’। এ ছবি দিয়ে সারাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পান চিত্রনায়ক সাত্তার। তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।

বুধবার (০৫ আগস্ট) সকাল ৯ টায় নারায়ণগঞ্জে উকিলপাড়া জামে মসজিদে জানাযা  শেষে  মাসদাইর গোরস্থানে বাবার কবরের সাথে তাকে দাফন করা হয়।

চিত্রনায়ক সাত্তার দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমায় অনিয়মিত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেছিলেন এফ আই মানিকের ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ ছবিতে। এতে অভিনেতা সাত্তার ছিলেন দীঘির বাবার চরিত্রে।

নায়ক সাত্তারের স্ত্রী কাকলী জানান, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে তিন তিনবার ব্রেনস্টোক করেন চিত্রনায়ক সাত্তার। তারপর থেকে তিনি প্যারালাইজড হয়ে গত দুই বছর ধরে বিছানায় পড়ে ছিলেন।

পাশাপাশি একাধিক রোগ তার শরীরে ভর করে। বছর ছয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী তাকে ৩০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। সেই টাকায় চিকিৎসা ও সংসার চলতো সাত্তারের।

বাংলা চলচ্চিত্রে সাত্তারের প্রথম উপস্থিতি ১৯৬৮ সালে। লোকজ গল্পের সিনেমায় তিনি দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন। ইবনে মিজানের ‘আমির সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী’ ছবিতে শিশুশিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার নায়ক হয়ে ওঠার ঘটনা আরো পরে।

১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে কাজ করেন কাজী হায়াৎ’র ‘পাগলী’ ছবিতে। এরপর আজিজুর রহমান’র ‘রঙ্গিন রূপবান’, ‘অরুন বরুণ কিরণ মালা’, ‘কাঞ্চন মালা’, ইবনে মিজান’র ‘পাতাল বিজয়’, চাষী নজরুল ইসলাম’র ‘শুভদা’, মিলন চৌধুরী’র ‘রঙ্গিন সাত ভাই চম্পা’সহ সাত্তার অভিনীত চলচ্চিত্র সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাবানা থেকে শুরু করে রোজিনা, অঞ্জু, জিনাত, কবিতা, অলিভিয়া, রানীসহ অনেক সুপার হিট নায়িকার নায়ক ছিলেন সাত্তার। তার মৃত্যুতে সিনেমা পাড়ায় শোক নেমে এসেছে।