মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কম্ভুকর্ণের ঘুম ভাঙেনি তাই ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টর

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২০ শনিবার

সংস্কারের অভাবে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনের সড়কটি। ফলে নিত্যই ঘটছে এখানে নানা ধরণের দুর্ঘটনা।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ডিসির বাংলোর সামনের সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের হলেও কর্তৃপক্ষের নজর পড়ে না এদিকটাতে। তবে, দেরীতে হলেও এই সড়কটি এবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।

সূত্র বলছে সংস্কারের অভাবে বেহাল শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। সড়কটির চরম বেহাল দশা গোটা রাস্তায় পিচের আস্তারণ উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরী হয়েছে। সম্প্রতি বর্ষণে ওই সব গর্তে পানি জমে কর্দমাক্তে পরিণত হয়েছে।

অথচ এই রাস্তার সাথেই রয়েছে বেশ কয়েকটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠন। প্রাথমিক বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জেলা প্রশাসকের বাসভবন। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজারও মানুষের চলাচল।

দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটির সংস্কার কাজ না হওয়ার কারনে প্লাস্টার উঠে গিয়ে ভিতর থেকে ইট বেড়িয়ে ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বেশী খানা খন্দে ভরপুর বিআইডাব্লুটিএ গেট থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের গেট পর্যন্ত। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যস্ততম এই সড়কটিতে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। জেলা প্রশাসকের বাংলোর সামনে এসে গতি কমে যায় যানবাহনগুলোর। এতে করে এই ব্যস্ততম সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। এছাড়া প্রায় সময় এখানে রিকশাসহ অটোবাইকগুলো দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এতে করে আহত হচ্ছে অনেক মানুষজন। একটু বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে এই সড়কটি। গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটির বেহাল দশার কারনে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারন মানুষ। 

ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার ড্রাইভার কাদির মিয়া জানান, এই স্থান দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাতায়ত খুবই মুশকিল। হেলেদুলে চলতে হয়। গর্তে চাকা পড়ে কয়েক দিন আগে এক্সেল ভেঙ্গে গিয়েছিল। ওই দিন জরিমানা দিতে হয়েছে মালিককে। এই স্থানটি এবড়ো থেবড়ো থাকার কারনে ব্যাটারী চার্জ কমে য়ায। 

এই সড়কের লেগুনা চালক আমজাদ জানান, জেলা প্রশাসকের গেট থেকে বিআইডাব্লটিএ গেট পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার বিহিন পরে রয়েছে। এখান দিয়ে চলাচল করতে হয় খুব রিস্ক নিয়ে। না হলে স্পিরিং পাত্তি ভেঙ্গে যায়। এ কারনে অনেক সময় দূর্ঘটনাও হচ্ছে এই স্থানটিতে।
   
অপরদিকে বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল বহন করা বড় বড় লড়ি ট্রাক চলাচলের জন্য সড়কটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাংগা ইট দিয়ে গর্ত পূরণ করলেও কয়েক দিনের মধ্যে ইট উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার বিহীন অবস্থায় পরে থাকায় কারপেটিং উঠে গেছে। তাই সড়কে কর্মজীবিদের দুর্ভোগের শেষ নেই। 

এই ব্যাপারে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেন, সড়কটি অতি শিগগিরই কাজ শুরু হবে। খানপুর হাসপাতাল সংলগ্ন থেকে শুরু করে চিটাগাং রোড পর্যন্ত এই সড়কের টেন্ডার হয়ে গেছে। জাইকার মাধ্যেমে এই সড়কের কাজ হবে।