কাদের নীরবতায় রক্তাক্ত হচ্ছে সড়ক?
মীর আব্দুল আলীম
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১১:০৫ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২০ শনিবার
একই দু:সংবাদ প্রতিদিন কেন শুনতে হয়? দেশে কেন সড়ক আইনের প্রয়োগ নেই? সড়কে অবৈধ যানবাহন দাবড়ে বেড়ালেও যেন দেখার কেউ নেই। তাই চোখের সামনে প্রতিদিনই তরতাজা মানুষগুলো লাশ হয়ে যাচ্ছে। রক্তাক্ত হচ্ছে আমাদের সড়ক।
যেন এত লাশ বহনে অপারগ হয়ে পড়েছে সড়ক-মহাসড়ক গুলো। যখন লিখছি ১৯ নভেম্বর সকালেই ৭ জনের মৃত্যুও খবর পেলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া এলাকায় ধানবোঝাই একটি অবৈধ ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন।
সব দুর্ঘটনাই দুখ্যজনক। সকলের মৃত্যুই আমাদের কষ্ট দেয়। কিন্তু এসব অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু যা মনে দোলা দেয়; ভোলা যায় না। হৃদয়ের গভীরে দাগকাটে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া এলাকায় ছোট একটি ভটভটি উল্টেই মারা গেলো ৭ জন। আরও আটজনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক।
তাহলে কি দাঁড়ালো এই অবৈধ যানটিতে গাদাগাদি করে ছিলো ১৫ জন আর সাথে ছিলো ধানের বস্তা। কি কওে তা সম্ভব? প্রশাসনের চোখের সামনে কি করে এভাবে একটি অবৈধ পরিবহন মালামাল এবং যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলো? প্রশাসন এ দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না।
প্রশ্ন জাগেই, জীবন কি এমনই? এতটাই তুচ্ছ? মানুষের জীবনের কি একদন্ডও নিরাপত্তা নেই? সবই কি মূল্যহীন? তাই যদি হয় তবে সড়কে এত লাশ কেন? হঠাৎ করে আচনক দানবীয় গতিতে দু’টি যাত্রীবাহী বাস মাখমুখি হয়। মুহুর্তে ঝড়ে যায় এসব তাজা প্রাণ। একি দুর্ঘটনা না কী হত্যাকান্ড !
আমরা মনে করি এসব দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ, মন্ত্রনালয় তথা সরকার দায়ী। এ ব্যাপারে তারা উদাসিন। এদেশে দায় নেয়ার দায়িত্বশীল লোকের বড় অভাব। কেউ কখনো কোন ঘটনার দায় নিতে চান না। মোদ্দা কথা হলো, নিজ দায়িত্বে বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চে চড়বেন না আর দুর্ঘটনায় মরবেন আপনি, এ দায়িত্বও কেউ নেবে না।
রাষ্ট্রের লোকজন একই ঘটনায় হরেদরে মরবে আর প্রতিকার হবে না তা কি করে হয়। এ দায়তো সরকারেরই। সরকার ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা কমছে না কেন? আইন আছে আইনের প্রযোগ কি আছে? সরকদুর্ঘটনা রোধে সরকোরে বড় ধরনের কোন পদক্ষেপ আমাদের চোখে পরছে কি? এ অপরাধের আইনি তৎপরতাও নেই।
বড় ধরনের কোন ঘটনায় কেবল সরকারের হাপিত্তেশ শুনি। হম্বিতম্বি মার্কা বক্তব্য দেন মন্ত্রীমহোদয়গণ। ছুটে যান লাশের পাশে। এক সময় ভাবনায় ছিল সরকারের মন্ত্রী আমলারা কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় কখনো মারা গেলে হয়তো আমাদেও সড়ক নিরাপদ হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সঠিক পদক্ষেপ নেবে সরকার।
প্রায়ত মন্ত্রী সাইফুর রহমান, সরকারের কজন সচিব আমলা, নাট্যব্যক্তিত্ব, সাংবাদিকসহ অনেক গুনিজন একে একে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেও দুর্ঘূটনা রোধে পদক্ষেপ কৈ? আমরাও কম কোথায়? আমরা হরতাল জ্বালাও পোড়াও মার্কা আন্দোলন করতে পারি কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোন আন্দোলনতো কখনো কেউ করেছি বলে তো মনে পওে না।
আন্দোলন বলতে নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের “ নিরাপদ সড়ক চাই” এ পর্যন্তই সিমাবদ্ধ। গত ২১ বছরেও নিরাপদ সড়কের জন্য নড়ে বেচারা কাঞ্চন কিছুই করতে পারেননি। আল্লাহ মাফ করুক কখনই যেন তা না হয়।
সরকারে সংশ্লিষ্ট কোন মন্ত্রীর আদুরে দুলাল কিংবা স্বজন মারা গেলে হয়তো কিছু একটা হবে। আবার তাতেও বিশ্বাস রাখতে পারিনা। সে ক্ষেত্রেও বোধ করি সরকার যন্ত্রেরএ টনক নড়বে না। তা হলে উপায় কি? আল্লাহই শেষ ভরসা। আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে যাচ্ছে এমন শান্তনা নিয়েই আমাদের বেঁচতে হবে; চলতে হবে পথে।
এক গবেষণায় দেখা যায়, নানা কারণে দেশে প্রতি ১০ হাজার মোটরযানে ১০০টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। উন্নত দেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এক হাজার মোটরযানে দুর্ঘটনা দুই দশমিক পাঁচ ভাগ থেকে তিন দশমিক পাঁচ ভাগ। অন্যদিকে আমাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার যানবাহনে ১৬৩ জন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বুয়েটের এ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইআরআই) পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হচ্ছে। নিহতের ৮০ শতাংশের বয়স পাঁচ থেকে ৪৫ বছর। নিহতদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পথচারী। যাদের ২১ শতাংশের বয়স ১৬ বছরের নিচে। দুর্ঘটনায় আহত ১৫ শতাংশ লোক মারা যায় ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে।
দেশে ১৬ লাখ রেজিস্টার্ড গাড়ি রয়েছে আর লাইসেন্স পাওয়া ড্রাইভার রয়েছে মাত্র ১০ লাখ। ৪ লাখ ড্রাইভারের ঘাটতি রয়েছে। সুতরাং ড্রাইভিং ট্রেনিং দেয়া ও তাদের জন্য লাইন্সেসের দরকার আছে। তা নাহলে প্রতিনিয়তই এভাবে অকাতরে ঝড়বে আমাদের প্রাণ।
বিগত কয়েকটি বছরের সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। ১৯৯৪ সালে নিহত হয়েছে ৩০১ জন আর আহত হয়েছে ২৭৩৫ জন, ১৯৯৫ সালে নিহত হয়েছে ১৬৫৩ জন আর আহত হয়েছে ২৮৬৪ জন, ১৯৯৬ সালে নিহত হয়েছে ২০৪১ জন আর আহত হয়েছে ৪০৭৬ জন, ১৯৯৭ সালে নিহত হয়েছে ৩১৬২ জন আর আহত হয়েছে ৩৯৯৭ জন, ১৯৯৮ সালে নিহত হয়েছে ৩০৮৫ জন আর আহত হয়েছে ৩৪৫৩ জন।
১৯৯৯ সালে নিহত হয়েছে ৩৩১৪ জন আর আহত হয়েছে ১৯১১ জন, ২০০০ সালে নিহত হয়েছে ৩৪৩০ জন আর আহত হয়েছে ৩১৭২ জন, ২০০১ সালে নিহত হয়েছে ৩১০৯ জন আর আহত হয়েছে ৩৬০৭ জন, ২০০২ সালে নিহত হয়েছে ৩৩৯৮ জন আর আহত হয়েছে ৩০৭০ জন, ২০০৩ সালে নিহত হয়েছে ৩৩৮৯ জন আর আহত হয়েছে ৩৮১৮ জন।
২০০৪ সালে নিহত হয়েছে ২৯৬৮ জন আর আহত হয়েছে ২৭৫২ জন, ২০০৫ সালে নিহত হয়েছে ৩১৮৭ জন আর আহত হয়েছে ৩৭৫৫ জন, ২০০৬ সালে নিহত হয়েছে ৩১৯৩ জন আর আহত হয়েছে ২৪০৯ জন, ২০০৭ সালে নিহত হয়েছে ৩৭৪৯ জন আর আহত হয়েছে ৩২৭৩ জন, ২০০৮ সালে নিহত হয়েছে ৩৭৬৫ জন আর আহত হয়েছে ৩২৮৪ জন, ২০০৯ সালে নিহত হয়েছে ২৯৫৮ জন আর আহত হয়েছে ২৬৮৬ জন।
২০১০ সালে নিহত হয়েছে ৪০৬৭ জন আর আহত হয়েছে ৪৯৭৫ জন, ২০১১ সালে নিহত হয়েছে ৪৯৭৪ জন আর আহত হয়েছে ৩৯৭৫ জন, ২০১২ সালে নিহত হয়েছে ৫০৩৩ জন আর আহত হয়েছে ৪২২৭ জন, ২০১৩ সালে নিহত হয়েছে ৪৮০২ জন আর আহত হয়েছে ৪৮৪৫ জন।
২০১৩ সালে নিহত হয়েছে ৪৮০২ জন আর আহত হয়েছে ৪৮৪৫ জন। ২০১৪ সালে নিহত হয়েছে ৬ হাজার ৫৮২ জন আর আহত হয়েছে অন্তত ১১০০০ জন। ২০১৫ সালে নিহত হয়েছে ৮৬৪২ জন আর আহত হয়েছে ২১,৮৫৫ জন।
২০১৬ সালে নিহত হয়েছে ৪৫৩০ জন আর আহত হয়েছে ৪৯৭৫ জন, ২০১৭ সালে নিহত হয়েছে ৪৮৮৬ জন আর আহত হয়েছে ৩৯৭৫ জন, ২০১৮ সালে নিহত হয়েছে ৫৬৩৩ জন আর আহত হয়েছে ৪৩২৭ জন, ২০১৯ সালে নিহত হয়েছে ৪৮০৬ জন আর আহত হয়েছে ৪৫৪০ জন।
সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতার অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুতগতি, অদক্ষ চালক, চালকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা ও দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ১০টি কারণ তুলে ধওে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদন দাখিল করেছে ।
সড়ক দুর্ঘটনা মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কেড়ে নিলেও তা বাস-ট্রাক চালকদের সংবেদনশীলতায় প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত অপরাধ রোধে যে আইন আছে তাতে অপরাধীর জন্য কড়া শাস্তির বিধান থাকলেও তার কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী দেশের ট্রাফিকব্যবস্থার যাচ্ছেতাই অবস্থা।
দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক বাড়ানো, সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার, চালকদের কাজের সময় নির্ধারণ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করাসহ বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা।
দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে না চলতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা কি মানা হচ্ছে কোথাও। না রাধধানী না গ্রামে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি এখনও সড়কে চলছে। সরকার সিথিল হলে আইনের প্রয়োগ না হলে সড়কে মানুষতো মরবেই। উচ্চ আদালত ফিটনেসবিহীন গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ না করতেও নির্দেশনা দিয়েছে।
জালানী পাম্প গুলোতে সাইনবোর্ডও লাগিয়ে দেয়া হয়েছে ফিটনেস ছাড়া জালানী সর্বরাহ করা হয় না”। সে নির্দেশ এখন অকার্যকর। হয়তো তা কার্যকর হবে না কখনো। এদেশে হাইকোর্টের নির্দেশকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখায় তারা। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে যার মধ্যে মাত্র ৪০% হাইওয়ে সম্পন্ন এবং মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষাধিক, রিঙা, ভ্যান, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি, অটোরিঙা অগণিত এর কোন হিসেবে নেই। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে উন্নত দেশের তুলনায় যা প্রায় ৩০ গুণের বেশি।
সর্বদিক বিবেচনা করে দেখা যায় যে আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য এককভাবে কেউ দায়ী নয়। নানাধিক কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সড়ক অব্যবস্থাপনার কারণে বর্তমানে জনগণ সোচ্চার হচ্ছে, দাবি উঠেছে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার। কিন্তু তা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেল। এবিষয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে বলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে মনে হয়না।
যে দেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নামে। রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ পদের নেতৃবৃন্দ অঙ্গীকার করা সত্ত্বেও কোন কাজ হয়না। একটি সুসভ্য দেশে কিভাবে সম্ভব হতে পারে? চালক, পথচারী সব ক্ষেত্রে আইন না মেনে চলার প্রবণতা এতটাই প্রকট যে আতঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। বাস ও ট্রাক চালকরা তো সড়কপথে যথেচ্ছতা প্রদর্শনকে নিজেদের অধিকার বলে ভাবেন। দেশের যানবাহন চালকের সিংহভাগ প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেয়েছেন।
যানবাহনের তুলনায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা কম থাকা কোনো সুস্থতার প্রমাণ নয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্ব যাদের তাদের মধ্যে সততার সংকট থাকায় প্রশিক্ষিত চালক হলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে সে নিশ্চয়তা নেই বললেই চলে।
দুর্ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে; ঘটবেও। কেন তা রোধ করা যাচ্ছে না? আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় দেশে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রুখতে হবে।
যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। সে মৃত্যু যদি অকাল ও আকস্মিক হয়, তবে তা মেনে নেয়া আরো কঠিন। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একের পর এক অকালমৃত্যু আমাদের শুধু প্রত্যই করতে হচ্ছে না, এ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বিভীষিকাময় ও অরাজক পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে হচ্ছে, যা আমাদের কারো কাছেই কাম্য নয়। এর আগে জাতীয় সংসদে ‘অনভিজ্ঞ ও অল্পবয়স্ক হেলপার’ বাস-মিনিবাস চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানালেন যোগাযোগমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গাড়ির সংখ্যা যে হারে বাড়ছে সে হারে দ চালক বাড়ছে না। ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক অমূল্য প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক, শিশু, নববধূ-বরসহ পুরো বরযাত্রী, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এমনকি সাবেক মন্ত্রীও এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত হওয়ার খবর আমরা পত্রিকার পাতায় পড়েছি। যার একটিও সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ঘটনা যেমন আমাদের ব্যথিত করে, তেমনিভাবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অরাজক পরিস্থিতির উদ্ভবও আমাদের মর্মাহত ও স্তম্ভিত করে।