পরিবার থেকেই লেখালেখির উৎসাহ পেয়েছি
লতিফ রানা
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার
পরিবার থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন শিশু সাহিত্যিক ও সাইন্স ফিক্শন লেখক শরীফ উদ্দিন সবুজ ও কবি সাঈদা সানজিদা। সোমবার রাতে সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক নাফিজ আশরাফের সঞ্চালনায় যুগের চিন্তার বিশেষ আয়োজন ফেসবুক লাইভ টক শো ‘সাহিত্য আড্ডা’ অনুষ্ঠানে আলাপচারিতায় নিজেদের লেখালেখির শুরুর দিকটা আলোকপাত করতে গিয়ে তারা বিষয়টি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শুরুতে সঞ্চালক নাফিজ আশরাফ জানান, এই দুইজন লেখকের পিতাই মুক্তিযোদ্ধা। সেজন্য তিনি তাদের দুইজনকে অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান।
শিশু সাহিত্যিক ও সাইন্স ফিক্শন লেখক শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেন, আমি শিশুকাল থেকেই লেখালেখি করি। আমার যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতাম তার নাম কলরব কিন্ডারগার্টেন। সেখানকার এক স্যার (মিঠু স্যার) লেখালেখির এক প্রতিযোগিতার লেখা সংগ্রহ করেন সেখানকার আমার একটি স্ব-রচিত কবিতা ছাপা হয়।
তিনি বলেন, আমার বাবা-মা দু’জনেই লেখালেখি করতেন।
প্রধম সংগঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, তখন ডা. জিএম জাব্বার চিশতী’র ‘কল্যাণী’ নামের একটি সংগঠনে যাই। সেখানে অবশ্য আমি তেমন একটা কন্টিনিউ করিনি। এরপর প্রগতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের গিয়েছি। তবে লেখালেখির ক্ষেত্রে তেমন কোন সংগঠনে বিশেষভাবে জড়িত হইনি। আমি বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠনেই বেশী সময় দেই।
এ সময় তিনি তাদের তৈরী সাথী সংগঠনের শুরু এবং শেষের বর্ণনা দেন। তিনি জানান তিনি একটি টেলিস্কোপ কিনেছিলেন শিশু শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকান্ড করার জন্য। তবে তা নষ্ট হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। আরো একটি টেলিস্কোপ কিনে তা নতুন করে শুরু করার চিন্তা আছে।
এ সময় তিনি তার লেখা কয়েকটি কবিতাসহ তার লেখা সায়েন্সফিকশন গল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
কবি সাঈদা সানজিদা বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে আমাদের পুরো পরিবারই জড়িত ছিল। সবাই লেখালেখিতে থাকায় আমরা ছোটবেলা থেকেই সে রকম একটা আবহাওয়াই বেড়ে উঠেছি।
তিনি বলেন, আমার আট বছর বয়স থেকেই আমি ছোট ছোট ছড়া লিখতাম। তখন আমার ছড়া দেখে তা একটি মাসিক পত্রিকায় ছাপালো। তারপর থেকেই উৎসাহটা আরো বেড়ে গেলো।
তিনি বলেন, আমার শুরুটা হয়েছি শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমি দিয়ে। বর্তমানে আমরা অনলাইন ভিত্তিক সাহিত্য কর্মকান্ডে জড়িত আছি। সেখানে সব জায়গার শুদ্ধ শিল্প চর্চার সাথে জড়িত তাদের নিয়ে আমরা সাহিত্য আড্ডা দিয়ে থাকি। আমরা সবাই সবার কাছ থেকে শিখছি।