শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গবেষণার কারণে সংসারেও মন দিতে পারেননি সৈকত আসগর

স্টাফ রির্পোটার

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার

কবি, গল্পকার, অনুবাদক ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান বলেন, ড. সৈকত আসগর গবেষণা করতে গিয়ে লেখালেখিতে এমনভাবে নিমগ্ন হন যে, তার আর সাংসারিক মানুষ হয়ে উঠা হয়নি। তিনি গবেষণার কারণে সংসারে মনও দিতে পারেননি। তার পারিবারিক স্মৃতি কথা বলতে গেলে তার একটি কথা মনে পরে, তিনি সব সময় বলতেন ‘আমি এক লেখখ মানুষ, গবেষক মানুষ, এই সংসার জীবনটা আমার ভালো লাগে না’। এ বিষয়ে তার অভিযোগ থাকলেও মানিয়ে নিয়েছিলেন তার স্ত্রী।


 
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক নাফিজ আশরাফ সঞ্চলালনায় অনুষ্ঠিত যুগের চিন্তার বিশেষ আয়োজন ফেসবুক লাইভ টক শো ‘সাহিত্য আড্ডা’য় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিশিষ্ট কবি লেখক ও গবেষক ড. সৈকত আসগরের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।


 
কবি, গল্পকার, অনুবাদক ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান বলেন, আমার সাথে সৈকত আজগরের প্রথম পরিচয় ’৮৭ সালের শেষের দিকে। তিনি (ড. সৈকত আসগর) তখন মানিকগঞ্জ দেবিনদ কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ছিলেন।


 
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার কারণে তখন নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বোস কেবিনে আমার যাওয়া আসাটা বেশি ছিলো। ’৭০ দশকের বিশিষ্ট কবি মুজিবুল হক কবির  আমার সাথে ড. সৈকত আসগরের পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় সৈকত আজগর আমাকে তার বাসায় যাবার বলে।


 
তিনি বলেন, তার বাসায় গিয়ে আমি মুগন্ধ হয়ে গেলাম তার এত বই ছিলো। তার সাথে কথা বলার পর তিনি জানতে চাইলেন কি অনুবাদ করি, কোনো প্রকাশনা করেছি কিনা।


 
তিনি ’৭০  দশকের ১০ জন কবির ১০০ টা কবিতা অনুবাদের কথা বলেন। তিনি নিজেই কবি ও কবিতা নির্ধারণ করেন। পাঁচ জন ঢাকার কবি বাকি পাঁচ জন নারায়ণগঞ্জের। তার দু’দিন পর তিনি আমাকে বই গুলো বুঝিয়ে দিয়ে বললেন কাজটা তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে পারলে প্রকাশনা করতে ভালো হবে।


 
তবে শেষে ১০০টি নয় ৫০টি কবিতা প্রকাশ করা হবে বলেন জানান।


 
বইটা ’৮৮ বন্যায় বের হলেও সেই সময় সব জায়গাতেই ভালো আলোচনা হয়েছিলো। তিনি আবার বই গুলো বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতেন। তিনি আবার দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগে পাঠালেন।


 
তিনি বলেন, সেখান থেকে তারা জানান, এখান থেকে ১টি কবিতা তাদের পছন্দ হয়েছে। কবিতাটি তারা সার্কভুক্ত সাতটি দেশের কবিদের সমন্বয়ে একটি বই বের করবেন সেখানে ছাপাতে চান। তার জন্য তারা একটি অনুমোদন পত্র চাইলেন আমি অনুমোদন পত্রে জানালাম একের অধিক কবিতাও ব্যবহার করতে পারেন। বইটি বের হলে তারা আমাকে একটি বই পাঠায়।


 
তিনি বলেন, সৈকত ভাই বিভিন্ন ব্যক্তি দের নিয়ে বই লিখেছেন।  তিনি বিট্রিশ আমলের এক জেলা ম্যাজেস্ট্রিটকে নিয়ে লিখেছিলন এবং ফিল্ম মেকারকেও নিয়ে তিনি বই লিখেছিলেন। তার বিভিন্ন বিষয় আগ্রহ ছিলো।


 
তাকে বললাম আপনি (ড. সৈকত আসগর) বিভিন্ন ক্ষেত্রে পা বাড়াচ্ছেন, আপনিতো সমস্যায় পরে যাবেন। তার গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে তিনি অনেক জেলা প্রশাসককে কাজে লাগিয়েছেন। তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন জেলার ইতিহাস, লোক সাহিত্য তুলে ধরেছেন।


 
তিনি কবি আরো বলেন, তিনি সব সময় গাণিতক হিসাবে চলেতেন। কখন কতটুক সময় থাকবেন কি থাকবেন না তা নির্ধারন করে বসতেন। সবচেয়ে মজার ব্যপার ছিলো তিনি সব সময় বোসকেবিনের লিকার চা খেতেন আমার খুবর জানার আগ্র ছিলো এই লিকার চা কি মজা পান।