মৌচাকে পুলিশ ও হেফাজতের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, আহত ২০
স্টাফ রিপোর্টার
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২১ রোববার
মোদী বিরোধী আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে হেফাজতে ইসলাম। সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় যানবাহনে আগুন দেয়ার পাশাপাশি গাড়ির টায়ার পুড়ে হরতাল পালন করেছে হেফাজত কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত এবং ১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের এই সংঘর্ষ চলে। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। এতে সর্বশেষ বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরকগঞ্জ মৌচাক এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্য মোতায়ের করা হয়েছে এবং জেলা পুলিশের উদ্যোগে যানবাহন চলাচল শুরু করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানকার পরিবেশ এখনও থমথমে অবস্থায় বিরাজমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হেফাজত কর্মীরা সকাল থেকে বেশ কয়েবার সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গাড়ির টায়ার ও কাঠের আসবাবপত্রে আগুন দেয়ার পাশাপাশি আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শটগান থেকে ফাঁকাগুলি ও কাঁদানো গ্যাস ছুড়ে।
তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত কিছু জায়গা বাদে নারায়ণগঞ্জ শহরে হেফাজতের ডাকা হরতালে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি। জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীরের সাথে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি আমাদের বলেছেন তারা কোনো রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এখানে তৈরী করবে না। তাছাড়া সব ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরাও প্রস্তুত আছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এ বিষয়ে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এখন পর্যন্ত জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। কাঁদানে গ্যাসসহ ফাঁকাগুলিও চালানো হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করার।
এর আগে হেফাজতের এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ভোর সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের ৫৮৫ জন, সাদা পোশাকে ২০০ জন কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণে সাঁজোয়া যানসহ র্যাব ও বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে।