লঞ্চডুবিতে নিহত হওয়া শনাক্তদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
স্টাফ রিপোর্টার
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২১ সোমবার
শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ সাবিত আল হাসান থেকে সর্বশেষ উদ্ধার করার ২১ লাশসহ মোট উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা ২৬। এর মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে তাদের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটি’র এর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। গতকাল রোববার লঞ্চডুবির পর কালবৈশাখীর কারণে কিছু সময় উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্ন ঘটলেও কিছুপক্ষণ পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দ্রুত গতিতে শীতলক্ষ্যার কয়লার ঘাট এলাকার নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা ৩য় সেতু এলাকায় ডুবে যাওয়া এই লঞ্চটির উদ্ধার কাজ শুরু হয়। সোমবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার করা মরদেহ জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন স্বজনরা।
যাদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে তারা হলো, মুন্সীগঞ্জ সদরের নুড়াইতলী এলাকার রুনা আক্তার (২৪), মুন্সীগঞ্জের মোলাকান্দি চৌদ্দমোড়া এলাকার সুমন আলী ব্যাপারীর ছেলে সোলেমান ব্যাপারী (৬০), তাঁর স্ত্রী বেবী বেগম (৬০), মুন্সীগঞ্জ মালপাড়া হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), মুন্সীগঞ্জ সদরের উত্তর চর মসুরা অলি উল্লাহর স্ত্রী পাখিনা (৪৫), একই এলাকার আরিফের স্ত্রী বিথি (১৮), তাঁদের সন্তান ১ বছর বয়সী আরিফা (১),
মুন্সীগঞ্জ সদরের প্রীতিময়ের স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি চরকিশোরগঞ্জের শামসুদ্দিন (৯০), তাঁর স্ত্রী রেহেনা বেগম (৬৫), বরিশালের উজিরপুর উটরা এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী তাহমিনা (২০), মুন্সিগঞ্জের দক্ষিণ কেওয়ার দেবিন্দ্র দাসের ছেলে নারায়ণ দাস (৬৫), তাঁর স্ত্রী পারবতি রানী দাস (৪৫), বন্দরের কামরুজ্জামান, স্বর্ণা দম্পতির শিশু সন্তান আব্দুল জমীর (০২), মুন্সীগঞ্জ সদরের নুরপুর রিকাবি এলাকার শাহ আলম মৃধা (৫৫), মুন্সীগঞ্জ সদরের রতনপাতরের স্ত্রী মহারানী (৩৭),
যাত্রাবাড়ি শনিআখড়ার আনোয়ার হোসেন (৫৫), তাঁর স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৩০), মুন্সিগঞ্জ সদরের শেয়াগাও পূর্বপাড়া মিঠুন মিয়ার স্ত্রী ছাউদা আক্তার লতা (১৮), শরীয়তপুর নরিয়া এলাকার নুরবকশীর ছেলে আব্দুল খালেক (৭০), ঝালকাঠির কাঠালিয়া এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে জিবু (১৩), বরিশালের স্বরূপকাঠি এলাকার মো. সেকান্দারের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৫০), এবং বন্দরের দক্ষিণ সাবদী এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে মো. নয়ন (২৯)।
উল্লেখ্য, এর আগের দিন রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ সাবিত আল হাসানকে ধাক্কা দেয় এসকেএল-৩ নামের একটি কার্গো। সে সময় ৬০ এর অধিক যাত্রিসহ ডুবে যায় লঞ্চটি। এর পর কালবৈশাখী ঝড়ের কারনে উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটে। তবে রাতেই পাচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পর সোমবার সকাল থেকে চলে উদ্ধার কাজ। লঞ্চটি ভেসে উঠার পর যখন শীতলক্ষ্যার পূর্ব পারে বন্দর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তখন পানির উপর তোলার পর বেরিয়ে আসে লাশের পর লাশ। সে সময় স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে কয়লারঘাট ও এর আশেপাশের এলাকা।