ফেরদৌসকে এক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:৪৬ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার
হেফাজত ইসলামী নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সবচাইতে সরব কেন্দ্রীয় হেফাজতের ইসলামের সহ-প্রচার সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজতের সভাপতি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ২৮ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতের তান্ডবে জেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা আউয়াল কেন ডিআইটি মসজিদ থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে সড়কে অবস্থান নেননি এমন কারণ দেখিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান। ঘটনার একদিন পরে মাওলানা আউয়ালকে হেফাজত থেকে বহিঃষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশের উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। পরে মাওলানা আউয়াল হেফাজত থেকে পদথ্যাগের ঘোষণা দিলে আরেক বিতর্কিত হেফাজত নেতা মামুনুল হক এসে মাওলানা আউয়ালের মান ভাঙান।
সূত্র জানায়, মামুনুল হক কান্ডে সোনারগাঁয়ে তান্ডব চালানো বেশ কয়েকজন হেফাজত নেতাদের নিয়ে ঢাকার জুরাইনে এক মসজিদে সভা করছিলেন মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে উপস্থিত হন। হেফাজতের যেসব নেতা সেই সভায় মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান সভা করছিলেন তাদের বেশিরভাগেই বিভিন্ন মামলার আসামী। রোববার বিকেল ৪টা ২০মিনিটের দিকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হেফাজত নেতা মাওলানা ফেরদৌসুর রহমানসহ ৫জনকে আটক করে। দীর্ঘ ১ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান ছাড়া পেলেও সাথে থাকা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাদের ছাড়েনি আইনশ্ঙ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনী। হেফাজত নেতা ফেরদৌসুর রহমান বিকেলে আটক হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুনুর রশীদ। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাওলানা ফেরদৌসুর রহমানকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছেড়ে দিলে আবারও স্ট্যাটাস দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হারুনুর রশীদ।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন আটক করেছিলো এবং একঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে আমাকে আটক করা হয়েছে। সোয়া ৫টা দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। আমি তাদের বলেছি, আমি দায়িত্বশালী ব্যক্তি। আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই। সোনারগাঁয়ে হেফাজতের নামে দুটি মামলা হয়েছে। সেখানে চারজন হেফাজতের আসামী রয়েছে। তাদের সাথে আমি কয়েকবার কথা বলেছি। হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনের জন্য ওকালাতনামায় স্বাক্ষর আনতে গিয়েছিলাম।
জুরাইন মাজার মসজিদে সোনারগাঁ থানার খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারি শাহজাহান শিবলী, হেফাজত সোনারগাঁয়ের সেক্রেটারি মাওলনা সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান, হেফাজতের সহসভাপতি মোয়াজ্জেম এই চারজনের নামে মামলা রয়েছে। আমার ধারণা মোবাইল ট্র্যাকিং করে সিভিল বেশে আমাদের পাঁচজনকে আটক করে। আমার জানা মতে, সেখানে র্যাব-১১’র একটি গাড়ি দেখেছিলাম। বাকিরা সিভিল বেশে ছিল। ওই চারজনের নামে মামলা ছিল, তাদের রেখে দিয়ে আমায় বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে।
মাওলানা ফেরদৌস বলেন, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদে মূল বিষয় ছিল, আমরা কেন জুরাইন গিয়েছিলাম, কিসের মিটিং করছি। আমার নামে মামলা রয়েছে কিনা। আমি বারবারই বলেছি, আমার নামে কোন মামলা নেই। আমার নামে কোন ওয়ারেন্ট নাই, সেটি থাকলে আমাকে গ্রেফতার করেন।