শহরে লোকসমাগম কম, পাড়ামহল্লায় চলছে জমজমাট আড্ডা
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:২২ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ রোববার
সরকার সর্বাত্বক লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরে লোকসমাগম কিছুটা কমলেও শহরের পাড়া মহল্লায় চলছে আড্ডা। শহরে যারা আসছেন তারা মাস্ক পরলেও পাড়া মহল্লায় কেউ মাস্ক পরছেন না। তাই চলমান এই লকডাউনকে সর্বাত্বক বলা হলেও বাস্তবে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবেই চলছে এই লকডাউন। পুলিশের তৎপরতাও অনেকটা কম। ফলে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না মানুষ। শহরের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায়ও পুলিশের তৎপরতা দেখতে চায় নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল।
এদিকে এবারের এই লকডাউনকে সর্বাত্বক বলা হলেও খোলা রাখা হয়েছে মিলকারকানা ও ব্যাংকগুলি। আর নারায়ণগঞ্জে খোলা রয়েছে পাইকারী ও খুচরা নিত্যপন্যের বাজার। তার উপর এখন চলছে পবিত্র মাহে রমজান এবং সামনে ঈদ। এমতাবস্থায় বহু মানুষ ঘরে থাকছে না। বিশেষ করে কলকারখানা খোলা রাখায় কারখানায় যাতায়ত করছে শ্রমিক ও কর্মকর্তা কর্মচারিরা। ব্যাংক খোলা রাখায় বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ব্যাংকে যাচ্ছেন। সব কিছু মিলিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমানে পন্যবাহী যানবাহন আসা যাওয়া করছে এই শহরে। তাই এই শহরে সর্বাত্বক লকডাউন পালন হওয়াতো দূরের কথা নূন্যতম লকডাউন পালন হচ্ছে না।
গত তিনদিনে দেখা গেছে শহরের কোথাও কোথাও যানজট লেগে গেছে। পরিস্থিতি অনেকটা এমন ছিলো যে রীতিমতো চাষাঢ়া মোড়, কালিবাজার এবং ফলপট্টি এলাকায় যানজট লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ যানজট। শহরে প্রাইভেট কার, সিএনজি সহ শত শত রিক্সা ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। পায়ে হাটা মানুষের সংখ্যাও কম ছিলো না। যদিও শুরু থেকে বলা হয়েছিলো পুলিশের দেয়া পাশ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এক কথায় সরকার ঘোষিত সর্বাত্বক লকডাউনের বিগত চার দিনে নারায়ণগঞ্জের কোথাও তেমন লকডাউন পালন হতে দেখা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ শহরে বিভিন্ন কাজে আসা লোকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, সর্বাত্বক লকডাউন বলা হলেও সরকার মিলকারখানা এবং ব্যাংক খোলা রেখেছে। তাই কেউ মিলকারখানায় যাচ্ছেন, কেউ যাচ্ছেন ব্যাংকে আবার কেউ যাচ্ছেন বাজার করতে। রাস্তায় এতো বেশি পরিমান যানবাহন চলাচল করছে যে চেক করার জন্য পুলিশ কিছু যানবাহন থামালেই দেখা যায় পেছনে দীর্ঘ লাইন হয়ে যানজট লেগে যাচ্ছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে শহরের কালী বাজার গিয়ে দেখা যায় নিত্যপন্য কেনাকাটায় ব্যাস্ত শত শত মানুষ। কালী বাজার রাস্তায় ছিলো যানজট। একই অবস্থা দেখা গেছে ফলপট্টি এলাকায়ও। এদিকে কড়া লকডাউনের কথা বলার পরেও কেনো শহরে এসেছেন জানতে চাইলে অধিকাংশ মানুষের উত্তর ঘরে বসে থাকলেতো আর মুখে আহার জুটবে না। তবে কালী বাজার, দীগু বাবুর বাজার এবং ফলপট্টিতে আসা লোকজনের অধিকাংই এসেছেন বাজার করতে। সঙ্গত কারনেই শহরে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক রিকশা, অটো রিকশা। এছাড়া বাজারগুলিতে নিত্যপন্যের দোকানগুলি সবই খোলা ছিলো। ফুটপাতগুলিতে দেখা গেছে প্রচুর ফলের দোকান। সর্বত্র মানুষের ভির ছিলো চোখে পরার মতো।