৩০ লাখ মামলার জট কমাতে তিনগুন বিচারক দরকার
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ রোববার
দেশের আদালতে বিচারাধীন ৩০ লাখ মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ বিচারক রয়েছেন, এর তিনগুণ বিচারক দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চে আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০ লাখ। এসব মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ বিচারক রয়েছেন, এর তিনগুণ বিচারক দরকার, নইলে কখনও মামলার জট কমানো সম্ভব হবে না। এছাড়া করোনার মতো পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা ভার্চুয়াল কোর্টে অংশ নিলে মামলার জট পরিস্থিতির কিছুটা উত্তরণ সম্ভব।’
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আরো বলেন, ‘২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ হয়েছে কিন্তু অনেক জেলায় এখনও চিফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি। কোথাও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতার সমাধান করে ভবন নির্মাণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে বারবার।’
এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমাদের কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এজন্য বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আপনি নির্দেশনা দিতে পারেন। নইলে কৃষি জমি রক্ষা করা যাবে না।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেন, ‘মামলা দায়েরের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। আগের চেয়ে এখন মামলা দায়েরের হারও বেশি।’
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নিম্ন আদালতে দুপুরের পর আইনজীবীদের পাওয়া যায় না। এজন্য সকালের পরিবর্তে বিকালে জামিন শুনানির জন্য বিচারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে সেই সিদ্ধান্ত এখন বহাল রাখা যাচ্ছে না।’
জবাবে আইনজীবীরা বলেন, শুধু আইনজীবী কেন, নিম্ন আদালতে দুপুরের পর অনেক বিচারকও এজলাসে বসেন না।
পরে আদালত এ দিনের কার্যক্রম অনুসারে কার্যতালিকায় থাকা মামলার ওপর শুনানি করেন।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবের কারণে চলমান লকডাউনের মাঝে হাইকোর্টে চারটি বেঞ্চে বিচার কাজ চলছে। অপরদিকে নিম্ন আদালতগুলোতে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। তবে বিচারপ্রার্থীদের কথা ভেবে ভার্চুয়াল আদালত সংখ্যা বাড়াতে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।