মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিসিকে জলাবদ্ধতা, উদাসীন জনপ্রতিনিধিরা

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৪:৩০ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার

বৃষ্টি নেই তবুও রাস্তায় সারা বছর হাটু পানির নিচে তলিয়ে থাকে ফতুল্লা পশ্চিম মাসদাইর এলাকার শিল্পাঞ্চল বিসিকের একমাত্র সড়কটি। ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরী থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও এই এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ কম বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার স্থায়ীবাসিন্দা ও শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, এই রাস্তাটিতে সারা বছরই পানি জমে থাকে। পানি জমে থাকা রাস্তায় চলতে গিয়ে গর্তে পড়ে তাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। কাপড় চোপড় ভিজিয়ে প্রতিদিন তাদের কর্মপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।


পশ্চিম মাসদাইর দিয়ে শিল্পনগরীর প্রবেশপথে হাটু পানি। পানির নিছে আবার বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। একেকটি গর্ত যেন একেকটি মরণ ফাঁদ। প্রায় সময়ই এখানে বিভিন্ন গাড়ি উল্টে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এতে নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারীরা।


শ্রমিকরা জানান, ভাঙা রাস্তায় চলতে গিয়ে নাকাল হতে হয় শিল্পনগরীতে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিককে। কাদা-জলে একাকার হয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি।


গার্মেন্টের শ্রমিক রোকসানা আক্তার বলেন, আমি মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরী এলাকায় থাকি। কাজের সুবাধে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চার বার চলাচল করতে হয়। প্রতিবারই রাস্তায় জমে থাকা পানিতে পড়নের জামা কাপড় একটু নষ্ট হয়। সামনে বৃষ্টির সময় আসছে, তখন তো পানি আরও বাড়বে।
মামুনুর রহমান জানান, গত কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটিতে পানি জমে থাকে। এখানকার অনেক রাস্তার উন্নয়ন হলেও এই রাস্তাটির কোন উন্নয়ন বা পরিবর্তন নেই।

 

এই রাস্তাটি নিয়ে বিগত সময় অনেক সংবাদ প্রকাশিত হলেও জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ছে না। এখনও পর্যন্ত সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে না। এতে আমরা হতাশ হচ্ছি। স্থানীয় সাংসদসহ জনপ্রতিনিধিরা কি এই রাস্তাটি দেখেন না। মুখে মুখে তারা উন্নয়নের বুলি ফোটালেও এই নাজুক রাস্তাটি তাদের কারো চোখে পড়ছে না। রাস্তাটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না।


এই এলাকাটি একটি শিল্প এলাকা যা এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধীক শ্রমিক চলাচল করে। তারা প্রতিদিনই পানি পাড়িয়ে গার্মেন্টসে আসা যাওয়া করে। এই ইউনিয়নের সব রাস্তা উন্নয়ন হলেও এই রাস্তার দিকে কারো নজর নেই।


এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি এবং বিসিক শিল্পনগরীর মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।