প্রচন্ড গরমে জমজমাট শরবতের দোকান
জহিরুল হক
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:১২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার
তীব্র তাপদাহে অতীষ্ট নগরবাসি। বৈশাখ মাসের আজ ১৩ তারিখ। অন্যান্য বছর এই সময় দেখা যেত ঝড়, বৃষ্টি। এ বছর এখনো বৃষ্টির কোন চিহ্ন নেই। তাই এই তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে এক পশলা বৃষ্টির আশায় তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় নগরবাসী। এর মধ্যে যারা শহরের আনাচে কানাচে দিন মজুরের কাজ করছে তাদের এই রমজানেও দেখা যায় একটু শান্তির খোঁজে গলাটাকে ভিঁজিয়ে নিতে শরবতের দোকানে ভীড় করতে।
অনাবৃষ্টির ফলে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। যার ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষের ভিতর এক ধরণের হাস-ফাস সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর চলছে মাহে রমজান মাস। অনেক খেটে খাওয়া শ্রমিক থেকে শুরু করে ভারী কাজের শ্রমিকদের রোজা রেখে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শারীরিক পরিশ্রমের কারণে অনেকেই গরমে অতিষ্ট হয়ে রোজা রাখতে পারছেন না। এই তীব্র তাপদাহে নিজেকে একটু সতেজ রাখতে বাধ্য হয়েই শহরে বিভিন্ন মোড়ে থাকা ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানের দিকে ছুটে যাচ্ছে। সেখান থেকে আখের কিংবা লেবুর এক গ্লাস শরবত পান করে তৃষ্ণা মিটিয়ে নিজেকে সতেজ রাখার চেষ্টা করছে, তার সাথে অপেক্ষা এক পশলা বৃৃষ্টির জন্য।
এ সময় কথা হয় দোকান কর্মচারী জুয়েলের সাথে তিনি জানান, সারা দিন রোজা রাখা মধ্যে এক ধরণের ক্লান্তি, তার উপর বেশ কিছু দিন ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। সারা দিন কাজ করে এক ধরণের ক্লান্তি চলে আসে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে। এর মধ্যে আবার দেশে চলছে করোনা মাহামারি। সবকিছু মিলে এক অস্থির পরিস্থিতি লাগছে। এসময় একটু বৃষ্টি হলে সস্তি ফিরে পেতাম।
অটো চালক সালাম মিয়া বলেন, সারা দিন অটো নিয়ে রাস্তায় থাকতে হয়, পুরো রোদ মাথার উপর দিয়ে যায়। তার উপর রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অটো চালাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তাই রোজা রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। আমাদের মতো খোলা আকাশের নীচে যাদের সারাদিন রোদের মধ্যে থাকতে হয় তারা সব সময়ই ছুটে আসি আখের রস, চিনি কিংবা গুরের শরবত যার সাথে একটু বরফের ঠান্ডা থাকে।