বিদেশিদের হজ্ব বন্ধের কথা ভাবছে সৌদি আরব
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৪৩ পিএম, ৫ মে ২০২১ বুধবার
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মধ্যে টানা দ্বিতীয় বারের মতো এবারো বিদেশিদের হজে যাওয়া বন্ধ করার কথা ভাবছে সৌদি আরব। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং নতুন ভেরিয়েন্টগুলো নিয়ে উদ্বেগ থেকে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দুই সৌদি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিদেশিদের হজে যাওয়ার ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মহামারি শুরুর আগে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় সপ্তাহব্যাপী হজ পালনের জন্য ২৫ লাখের বেশি মানুষ সমবেত হতেন। এ থেকে প্রতিবছর ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হতো সৌদি আরবের।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে মক্কায় হজের জন্য মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত হবে। সে ক্ষেত্রে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা টিকা নিয়েছেন বা অন্তত ছয় মাস আগে কোভিড–১৯ থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের হজ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশটি ২০২০ সাল নাগাদ ওমরাহ ও হজের জন্য আগত মুসল্লিদের সংখ্যা দুই কোটিতে উন্নীত করতে চেয়েছিল। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তিন কোটিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তারা। এতে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু হজ থেকেই ৫০ বিলিয়ন রিয়াল (১৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার) আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল দেশটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, বিদেশিদের হজের সুযোগ দেওয়ার আগের পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। দেশের মধ্যে যাঁরা টিকা নিয়েছেন এবং ছয় মাস আগে কোভিডমুক্ত হয়েছেন, শুধু তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বয়সের সীমাও বেঁধে দেওয়া হবে।
একটি সূত্র বলছে, প্রাথমিকভাবে টিকা নেওয়া কিছুসংখ্যক বিদেশিদের হজ পালনের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কে কোন টিকা নিয়েছেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি, এসব টিকার কার্যকারিতা এবং করোনার নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগের কারণে কর্মকর্তারা ওই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন।
এ বিষয়ে সৌদি আরবের সরকারি ভাষ্য জানতে চেয়েছিল রয়টার্স। তবে তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত, ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি সরকার ২০টি দেশের নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। তবে কূটনীতিক, সৌদি নাগরিক, চিকিৎসক ও তাঁদের পরিবারের ক্ষেত্রে ছিলো ছাড়। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে। এ তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, মিসর, লেবানন, ভারত ও পাকিস্তান রয়েছে।