আবারও বাড়ছে গরম
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:০৪ পিএম, ৭ মে ২০২১ শুক্রবার
মাঝে তিনদিন স্বস্তিদায়ক থাকলেও আবারও বাড়ছে গরম অনুভূতি। বাতাসের জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বেশি থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা না বাড়লেও গরম অনুভূতি হচ্ছে কিছুটা বেশি। কেননা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা মাসের শুরুর দিকে বেশি থাকায় বর্তমানে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাতাসে বেশি। ফলে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এই অবস্থা আবার আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে কমে যাবে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এপ্রিলের চেয়ে বৃষ্টিপাত মে মাসে বেড়েছে। তবে এই সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, তার তুলনায় কম হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত কম হতে পারে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একেকদিন একেক সময় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর বৃহস্পতিবার (০৬ মে) রাতে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এই অবস্থায় শুক্রবার (০৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় এ সময় পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৬ কিমি, যা দমকা আকারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমিতে ওঠে যেতে পারে। আগামী দু’দিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন নেই। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫০ শতাংশ। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৬১ মিলিমিটার। দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে- যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং সিলেটে ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।