রোজিনাকে গ্রেপ্তার করলেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করা যাবে না
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ পিএম, ২২ মে ২০২১ শনিবার
প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে হেনস্থা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার হয়রানি করলেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে বন্ধ রাখা যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি তুরে ধরেছে সাংবাদিক রোজিনা। দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে গিয়ে প্রয়োজনে বার বার মিথ্যা মামলা জেলে যাবে, তবুও সাংবাদিকদের কলম বন্ধ রাখা যাবে না। অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আমির হুসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন, প্রথম আলো’র নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মজিবুল হক, আলোকচিত্রী দিনার মাহমুদ, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা’র ফটো সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি তাপস সাহা, প্রণব কৃষ্ণ, মতিউর রহমান সেন্টু, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, বন্দর প্রেস ক্লাবের সভাপতি পিন্টু খান, ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সময় টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি শওকত হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এবিএম জাহিদ, সমকালের ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান সজীব, অবজারভার পত্রিকার আলোক চিত্রী পাপ্পু ভট্টাচার্য, কালের কন্ঠ পত্রিকার আলোক চিত্রী আরিফুর রহমান, দেনিক দিনকালে কামাল হোসেন, স্থানীয় অগ্রবানী প্রতিদিনের আলোকচিত্রী তানভীর আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুলাহ মাহমুদ টিটু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন, ফতুলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, বন্দর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এডভোকেট পিন্টু খান, ফতুলা মডেল প্রেসক্লাবে র সভাপতি আনিসুজ্জামান অনু, ফতুলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, সহ-সাধারণ সম্পাদক কে এইচ মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির রনি, অর্থ সম্পাদক কাজী আলমাস, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ হোসেন ও কার্য নির্বাহী সদস্য আমির হোসেন, আরিফ জয় সহ এনামুল হক সিদ্দিকী ও সাধারণ সদস্য কাইয়ুম খান। আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শহীদুল্লাহ রাসেল, এন এএন টিভির স্টাফ রিপোর্টার বদরুজ্জামান রতন, মাহমুদুর ইসলাম সৌরভ, সহ নারায়ণগঞ্জের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্্র মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলন।
খন্দকার শাহ্ আলম বলেন, সাংবাদিকদের কলম সন্ত্রাস-দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখে তাদেরকে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে জানান দেওয়া- তোমরা যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখ তাহলে তোমারকেও এই পরিণতি হবে। দুর্নীতিবাজরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে এই কৌশল নিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে শায়েস্তা করতে এই হেনস্থা করা হয়েছে। আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হুঁশিয়ারী উচ্চারন করে বলছি, হুমকি, ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকরা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লিখে যাবে। অবিলম্বে নি:শর্তভাবে রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করছি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। রোববার রোজিনার জামিন না হলে গোটা সংবাদিক সমাজ ক্ষুদ্ধ, প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
আমির হুসাইন বলেন, রোজিনা ইসলামকে আইনের ফাঁদে ফেলে রাষ্ট্রযন্ত্র বিনা অপরাধে হয়রন করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে সরকার তাকে শায়েস্তা করতে মিথ্যা মামলায় জেলে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
আফজাল হোসেন বলেন, রোজিনা ইসলামে বিরুদ্ধে দায়ের মামলার সাথে জব্দ তালিকার কোন নেই। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম একের এর এক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করেছেন। কোনটারও তো তারা প্রতিবাদ জানাতে পারেননি। কারণ তাঁরা নিজেরাই দুর্নীতির দায়ে যুক্ত। নিজেদের দুর্নীতি ও অপকর্ম ডাকতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানান।