মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাড়া-মহল্লায় বেপরোয়া বাইক আতঙ্ক

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ১ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জে এখন সন্ত্রাসীদের অন্যতম বাহন হলো মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলে চড়েই ওরা নানা রকম অপকর্ম করে থাকে। পাড়া মহল্লায় প্রভাব বিস্তার, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি সহ সব ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ওরা বাইকে চড়ে। ফলে পাড়া মহল্লায় সাধারণ মানুষের মাঝে বাইক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সবেচেয়ে বড় সমস্যা হলো রাস্তায় ওদের বেপরোয়া গতি। এতে প্রায় প্রতি দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই নারায়ণগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন এই শহরের সর্ব স্থরের সাধারণ মানুষ।

 

কারন মোটরসাইকেল আরোহী সন্ত্রাসীরা দিনে দিনে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পাড়া মহল্লায় মহড়া দেয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসীরা ছিনতাই কাজেও মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে। আর দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে ঘটাচ্ছে একের পর এক দুর্ঘটনা। ফলে নারায়ণগঞ্জে এখন একের পর এক মোটর সাইকেল দূর্ঘটনা ঘটছে। তাই এ বিষয়ে এখন পুলিশ সুপারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জবাসী। সন্ত্রাসী টাইপের কিশোর যুবকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে একদিকে তাদের প্রানহানী ঘটছে অপরদিকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নিরীহ সাধারণ মানুষ। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। যার ফলে দিনে দিনে মোটর সাইকেল আরোহী সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

 

গত এক সপ্তাহে দুটি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তিন যুবকের। এই দুটি ঘটনার মাঝে একটি ঘটেছে মোক্তারপুর ব্রিজের উপরে। বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণহারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ফতুল্লার দুই যুবক মারা যায়। এছাড়া প্রায় প্রতি দিনই মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় পঙ্গু হচ্ছে কেউ না কেউ। এতে কেবল মোটর সাইকেল আরোহীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না বরং সাধারণ মানুষও মারাত্মকভাবে জখম হচ্ছে। তাই এখনই পুলিশ প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলেই মনে করেন নারায়ণগঞ্জের সর্ব স্থরের সাধারণ মানুষ।

 


এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে এবং পাড়া মহল্লায় সব সময়ই সন্ত্রাসীদের মোটর সাইকেল মহড়া দিতে দেখা যায়। সন্ত্রাসীরা কোনো আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। এক মোটর সাইকেলে চড়ে তিন জন। কোনো হেলমেট পড়ে না। কিন্তু পুলিশ এসব দেখে না। অথচ আইন মোতাবেক এক মোটর সাইকেলে দুই জনের বেশি চড়ার কোনো নিয়ম নেই। আর হেলমেট ছাড়া মোটর সাইকেল চালানো একেবারে নিষেধ। কিন্তু সন্ত্রাসীরা এসব কিছুর কোনো তোয়াক্কা করে না। তাই এখনই যদি পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন না করে তাহলে সন্ত্রাস ও দুর্ঘটনা আরো বাড়তে থাকবে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কঠোর পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জবাসী।